বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে আসছে, ততোই খোলসবন্দি হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। গণমাধ্যমের সাথে ততোই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। মিডিয়া ও টিম অপারেশন ম্যানেজার রাবীদ ইমাম যেন মুখে কুলুপ এটেছেন। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও কিছু বলছেন না। বড় কোন টুর্নামেন্টের আগে সাকিব আল হাসানের দলের যেন এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাকিব তার সতীর্থ থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফদেরও নির্দেশ দিয়েছেন মিডিয়ার সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে!
অধিনায়ক
হিসেবে সাকিব বরাবরই নিজস্ব কিছু নীতি মেনে চলেন। অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত গত টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপেও সতীর্থদের মিডিয়া সহ বাইরের জগৎ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। আসন্ন বিশ্বকাপেও একই পরিকল্পনা
হাতে নিয়েছেন সাকিব।
গৌহাটিতে
পৌঁছানোর পর প্রথম ম্যাচের আগ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে টুকটাক ভিডিও বার্তা দিলেও
পরের দিন থেকে জাতীয় দলকেন্দ্রিক কোনো তথ্য দেননি বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার। কেন নেই,
সেই ব্যাখাও দেননি রাবিদ ইমাম। যদিও বিশ্বকাপের আগে সাকিবের এই নিয়মকে সমর্থণ জানিয়েছেন
বিসিবির পরিচালকদের অনেকেই। তারা মনে করে এতে করে খেলায় ফোকাস বাড়বে ক্রিকেটারদের।
এদিকে
তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে না থাকা, পরবর্তীতে সাকিব, তামিম এবং মাশরাফির ভিডিও নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে আলোচনার ঝড় উঠেছে। সেই ঝড় বিসিবি চুপ থেকেই সামাল দিচ্ছেন। এই নিয়ে
এখন অব্দি কেউই কোন মন্তব্য করেননি। মূলত সাম্প্রতিক বিতর্ক থেকে দূরে সরিয়ে খেলোয়াড়দের স্রেফ খেলায় মনোযোগী রাখতেই এমন উদ্যোগ সাকিব ও বোর্ডের। কিন্তু সেটা যেন বিশ্বকাপ দলকে প্রভাবিত করতে না পারে কিংবা দলের কাউকে নিয়ে যেন নতুন কোন ইস্যু তৈরি
না হয়, সেই চেষ্টা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আর
এই কারনেই মৌন থাকার নীতি গ্রহণ করেছে ক্রিকেট বোর্ড।
আগামী
৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে দিয়ে বিশ্বকাপের
মিশন শুরু হবে বাংলাদেশের। তার আগে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষবারের মতো নিজেদের ঝালিয়ে
দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। ফুটবল খেলতে গিয়ে ব্যাথা পাওয়া সাকিব আগের ম্যাচের মতো
এই ম্যাচেও একাদশে নেই। এদিকে অনুশীলনে চোট পেয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ার্মআপ ম্যাচ
থেকেও ছিটকে গেছেন মাহমুদউল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন