সমাজেন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে গত ২৩-৩০ অক্টোবর ভারতের চেন্নাই শহরে ১৩ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে পথশিশু ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়েছে বাংলাদেশের পথশিশুরা।
চেন্নাইতে
পরপর চারটি ম্যাচ জিতে শিরোপার স্বপ্নে পা বাঁড়িয়েছিলো বাংলাদেশের
পথ শিশুরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্বাসরূদ্ধকর এক জয় বাংলাদেশ সেমিফাইনাল
নিশ্চিত করলো। তবে সেমিতে উগান্ডার বিপক্ষে
হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। তবে ফাইনাল খেলতে না
পারলেও রুবেল, হাসান, সাথী ও আফরিনরা হৃদয় জিতেছেন ঠিকই।
টুর্নামেন্টে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে
নিজেদের প্রমাণ করেছিলো বাংলাদেশ। শক্ত হাতের ব্যাটিং কিংবা ক্ষিপ্ত গতির বোলিং এর মাধ্যমে পথশিশুদের অধিকার আদায়ে বৈশ্বিক আন্দোলনে নিজেদের প্রতিভার জানান দিয়েছে অমিত তেজ আর সম্ভাবনাময় এইসব ক্ষুদে ক্রিকেটারেরা। ক্রিকেটের তীর্থভূমির প্রতিনিধি দল ইংল্যান্ডকে হারানোর মধ্য দিয়ে এবং প্রতিপক্ষ দল শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, বুরুন্ডি এবং মরিশাসের মতো দেশকে হারিয়ে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে সুযোগ আর প্ল্যাটফর্ম পেলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ থেকে চার ছেলে ও চার মেয়ে শিশুর দল ভারতের চেন্নাইয়ে শেষ হওয়া পথ শিশু বিশ্বকাপে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে। সোমবার সকল সদস্যদের বিশ্বকাপে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য সোমবার রাজধানীর একটি গেস্ট হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে লোকাল এডুকেশন এন্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-লিডো। প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্ট্রীট চাইল্ড ইউনাইটেড কর্তৃক দ্বিতীয়বারের বৈশ্বিক এই আয়োজনে লিডোই মূলত বাংলাদেশের হয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে অংশগ্রহণ করে আসছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন