এশিয়ান গেমস খেলতে যাওয়ার আগে সেমিফাইনাল খেলার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ হকি দলের কোচ কিম ইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়ার কোচের সেই আশা পূরণ তো দূরে থাক সর্বশেষবারের পজিশনও অর্জন করতে পারছে না বাংলাদেশ।
সর্বশেষবার
ষষ্ঠ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ হওয়ায় সপ্তমের লড়াইয়ে নামবেন পুষ্কর খীসা–আশরাফুল ইসলামরা। এশিয়াডের শুরুটা হয়েছিল দুই ম্যাচে হার দিয়ে। শেষটাও হচ্ছে হার দিয়ে। সেটিও আবার আগের হারগুলোর ব্যবধানের চেয়ে বেশি। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ভারতের কাছে ১২–০ গোলে
হেরেছে বাংলাদেশ। এতে করে এশিয়াডে ৪১ বছর পর
আবারও ভারতের কাছে এত গোল হজম
করল বাংলাদেশ।
১৯৮২
দিল্লি এশিয়াডেও ভারতের কাছে ১২–০ গোলে
হেরেছিল বাংলাদেশ। আজ শুরু থেকেই
প্রতিপক্ষের আক্রমণের মুখে পড়ে। ২ মিনিটের মাথায়
পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন হারমানপ্রিত সিং। দুই মিনিট পর দলের লিড
দ্বিগুণ করেন তিনি। ম্যাচে হ্যাটট্রিকপূর্ণ করেন ৩২ মিনিটে। তাঁর
মতো হ্যাটট্রিক পেয়েছেন মানদ্বীপ সিংও। জোড়া গোল করা অভিষেকের সঙ্গে একটি করে গোল করেছেন ললিত কুমার, অমিত রুইদাস, নীলকান্ত শর্মা ও গুরজন্ত সিং।
টুর্নামেন্টের
প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও কমপক্ষে ২ বার প্রতিপক্ষের
জালে বল জড়িয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু আজ একবারও পায়নি
পুষ্কর–আশরাফুলরা। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে
২৯ গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে দিয়েছে ১৫ গোল। এবারে
এশিয়াডে ভারতের কাছে ১২–০ গোলের
হারই বড় ব্যবধানের হার।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে ৭–২ গোলে
হারার পর পাকিস্তানের কাছে
হেরেছিল ৫–২ ব্যবধানে।
আর আজ হারার আগে
মাঝে সিঙ্গাপুর ও উজবেকিস্তানে কাছে
৭–৩ ও ৪–২ ব্যবধানে জয়
পায় বাংলাদেশ।
সুত্র : আজকের পত্রিকা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন