বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয় বিপরীতে চিত্রে। ইংলিশরা প্রথম ম্যাচেই আত্মসমর্পণ করেছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। বাংলাদেশ উড়িয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তানকে। ফলে ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি ইংলিশদের জন্য হয়ে উঠেছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
গুরুত্ব
বুঝেই যেন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ধর্মশালায় কার্ডিফের স্মৃতি ফেরালেন ইংলিশ ব্যাটাররা। ডেভিড মালানের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি, জনি বেয়ারস্টো ও জো রুটের
ফিফটিতে বাংলাদেশকে ৩৬৫ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। ৯ উইকেটে ৩৬৪
রান সংগ্রহ করেছে তারা। ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
৪০০
রানের আভাসই দিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু শেষ ৬৬ রানে ৬
উইকেট হারালে সেটি আর সম্ভব হয়নি।
৪০ ওভারেই ইংলিশরা স্কোর সুসংহত করেছিল। শেষ দিকে শরীফুল ইসলাম-শেখ মেহেদী হাসানরা দ্রুত কয়েক উইকেট নিলেও সেটি কেবল সান্ত্বনারই।
জিততে
হলে ইতিহাস গড়তে হবে সাকিব আল হাসানদের। বিশ্বকাপ
কিংবা ওয়ানডেতে ৩২১ রানের বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। গত বিশ্বকাপে কার্ডিফের
মতো আজ ধর্মশালায়ও টস
জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
বিপিএলের
কল্যাণে চেনা-জানা বোলারদের পেয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন মালান। আগের ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এই ম্যাচে ৩৯
বলেই তুলে নিয়েছেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি। জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ১০৭ বলে ১১৫ রান।
১৮
তম ওভারে বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব। ৫৯ বলে ৫২
রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। এর পর ৯১
বলে ওয়ানডের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তোলার পর আরও বিধ্বংসী
হয়ে ওঠেন এই ওপেনার। ৩৮
তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মেহেদির কুইকার লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বোল্ড হলে থামে এই বাঁহাতি ব্যাটারের
ইনিংস। ১০৭ বলে ১৬ চার ও
৫ ছক্কায় করেছেন ১৪০ রান। জো রুটের সঙ্গে
দ্বিতীয় উইকেটে ১১৭ বলে ১৫১ রানের জুটি ভেঙেছেন মেহেদি।
মালানের
পর উইকেটে আসেন জস বাটলার। ১০
বলে ২০ রান করেছেন
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৮২ রানে শরীফুলের
শিকার হয়ে ফেরেন রুট। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে শেখ মেহেদী ৪টি ও শরীফুল নিয়েছেন
৩ উইকেট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন