আয়োজন দেখে যে কারও মনে হবে, আহমেদাবাদে হয়তো কোনো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক ম্যাচের নিরাপত্তার জন্য প্রায় ১১ হাজার পুলিশের মোতায়েন তেমনি ভাবতে বাধ্য করবে যে কাউকে। এমনটা মনে হওয়া আরও স্বাভাবিক হবে, যেহেতু ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ চলছে। আর বিশ্বজুড়ে সেটি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ ছাড়া দুই বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তো লেগেই আছে।
তবে
আহমেদাবাদে বাস্তবে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ না হলেও লড়াই কিন্তু হবে। আর সেটা হবে ২২ গজের
পিচে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। দুই দলের ম্যাচ মানেই রুদ্ধশ্বাস
উত্তেজনা। আর বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমন উত্তেজনাকর ম্যাচে তাই
স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তার ব্যাপারটি মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, বিশ্বের সর্বোচ্চ আসনসংখ্যার
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে খেলাটি হবে। ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শকের চাপ সামলানো তাই চাট্টিখানি
কথা নয়। ম্যাচ দেখার জন্য আহমেদাবাদে হুহু করে বেড়েছে দর্শক-সমর্থকদের সংখ্যা। হোটেলের
দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় অনেকে স্বাস্থ্য চেকআপের নামে হাসপাতালে জায়গা নিয়েছেন।
তা
ছাড়া দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্বকাপের ম্যাচটির চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য ১১ হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে ভারত সরকার। যার অর্থ প্রতি
১২ জন দর্শকের জন্য ১ জন করে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ম্যাচ চলাকালীন
ড্রোনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ড্রোনগুলো ১২০ মিটার উঁচুতে ১২ ঘণ্টা উড়বে। স্টেডিয়ামের
বাইরে প্রায় ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবে।
তবে
বাইরের এই যুদ্ধ যুদ্ধ সাজ নিয়ে কোনো চিন্তা করেন না বলে জানিয়েছেন রোহিত শর্মা। ভারতীয়
অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা বাইরের বিষয় নিয়ে চিন্তা
করি না। যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তার দিকেই লক্ষ্য রাখি।’
ওয়ানডে
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান সাতবার মুখোমুখি হয়েছে। তবে কোনোবারও ভারতকে
হারাতে পারেনি পাকিস্তান। আগামীকাল প্রথম জয়ের আশায় আহমেদাবাদে নামবেন বাবর আজম-মোহাম্মদ
রিজওয়ানরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন