প্রশ্নটা অবধারিতভাবেই উঠত। সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে আসা বাংলাদেশ এখন কোথায় অবস্থান করছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে উড়ন্ত শুরুর পর ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে তেমন লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। গত বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট দারুণ পেশাদার পারফরম্যান্সে উড়িয়েছে বাংলাদেশকে
ব্যাটিং,
বোলিং দুই বিভাগেই চরম বাজে পারফর্ম করেছে সাকিব অ্যান্ড কোম্পানি। তাতে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছতে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কেননা ব্যাট-বলের যুদ্ধেই শুধু নয়, দুই ম্যাচ হেরে ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষাতেও তেমন তেজ দেখা যাচ্ছে না। মাঠে নেই লড়াইয়ের জেদ। হারার আগেই যেন হেরে যাচ্ছে দল। প্রতিপক্ষের আক্রমণে চূর্ণবিচূর্ণ মানসিকতা।
তবে
সেমিফাইনালের আশা এখনও ছাড়ছে না দল। বিশ্বকাপে
এখনও ছয় ম্যাচ বাকি।
কাগজে কলমে সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু সম্ভাবনাই নয়, বড় সুযোগ আছে
সেরা চারে যাওয়ার। হিসেব বলছে, ছয় ম্যাচের অন্তত
চারটি জিতলেই সেমিফাইনাল খেলতে পারবে বাংলাদেশ।
মোস্তাফিজ
প্রবল আশা নিয়ে সেই কথাটাই যেন বললেন মিক্সড জোনে এসে, ‘অসম্ভব কোনো কিছু না। আমরা তো ছয় ম্যাচের
ছয়টাই জিততে পারি।’
চেন্নাইয়ে
নিউ জিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারের
পর বাংলাদেশের গন্তব্য পুনে। সেখানে খেলবে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে। এরপর দল যাবে মুম্বাইয়ে।
প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশকে মুখোমুখি হতে হবে দুই প্রবল শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। এরপর কলকাতায় খেলবে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে।
দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। সবশেষ ম্যাচে পুনেতে আবার অস্ট্রেলিয়া।
নেদারল্যান্ডস
বাদে সবগুলো দলই বিশ্বকাপে ভালো করছে। অস্ট্রেলিয়া দুই ম্যাচে হারলেও তারা নিশ্চিতভাবে প্রবল শক্তিশালী। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এখন ফেভারিট। পাকিস্তান বিশ্বকাপে চোখ রেখেই এসেছে ভারতে। বাংলাদেশ ফেভারিট না হলেও বড়
দলগুলোকে এর আগে একাধিকবার
হারিয়েছে। সেই সুখস্মৃতিগুলোই মোস্তাফিজকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে, ‘পেশাদার হিসেবে চিন্তা করলে আফসোসের কিছু নেই। ছয় ম্যাচ সামনে
আছে। ছয় ম্যাচের ছয়টিই
জিততে পারি।’
বড়
পরাজয়ের পর ড্রেসিংরুমে এখন
ভালো করার পথ খোঁজা হচ্ছে।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সহ
গোটা দল বিশ্বাস করে
সামনে ভালো করা সম্ভব। তাই নিজেদের ব্যর্থতা নিয়ে না ভেবে সামনের
কঠিন পথগুলো কিভাবে পাড়ি দেওয়া সম্ভব সেই চিন্তা করছে বিশ্বকাপের স্বপ্ন সারথিরা।
মোস্তাফিজের
কণ্ঠে উঠে এলো সব, ‘আমরা ভালো করার অপশন খুঁজছি। কি করলে আমরা
ভালো খেলতে পারব। সবাই মিলে কথা বলছি। কি করলে ভালো
করতে পারব।’
ব্যাটসম্যানদের
থেকে বেশি রান চান মোস্তাফিজ। ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে বড় স্কোর করলে
তা ডিফেন্ড করা সহজ বলেই বিশ্বাস করেন তিনি। নিজেদের প্রত্যাশা কথা বলেছেন মোস্তাফিজ, ‘উইকেট এমন ছিল যে, ভালো জায়গায় বোলিং করলে সে সফলতা এসেছে।
ভালো জায়গাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ২৮০ এর মতো হলে
ভালো হতো আর কি। আশা
করি সামনে তারা ভালো করতে পারবে। আমরা সব সময়ই সেরা
দেওয়ার চেষ্টা করি। ভালো খারাপ মিলেই তো সব। কিছু
সময় আপনি চাইলেই বোলিং করে দেখবেন উইকেট পাবেন। কিছু সময় আপনি “আল্লাহ-বিল্লাহ” করলেও উইকেট পাবেন না। আমরা পেসাররা সব সময় একসঙ্গে
থাকি। এগুলো নিয়ে কথা হয়। সুখে দুঃখে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন