২০ বছর পর ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল নিউক্যাসল ইউনাইটেড। খেলতে নেমে সবাইকে অবাকই করে দিয়েছে। পিএসজিকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ম্যাচটা আরও স্মরণীয় করে রেখেছে ইংলিশ ক্লাবটি। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের আক্রমণের কোনও জবাব ছিল না ফরাসি জায়ান্টদের। ১৭ মিনিটে মিগুয়েল আলমিরোনের গোলে মেলে অগ্রগামিতা। তার পর ৩৯ মিনিটে স্কোর ২-০ করেছেন ড্যান বার্ন।
বিরতির
পর স্বাগতিকরা ম্যাচটা এমন পর্যায়ে নিয়ে যায় যে তা আরও
আনন্দের উপলক্ষ এনে দেয় নিউক্যাসল ভক্তদের। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটেই তৃতীয় গোলটি করেছেন শন লংস্টাফ। ৫৬
মিনিটে লুকাস হার্নান্দেসের গোলে পিএসজি একটি শোধ দিলেও তা রসদ যোগাতে
পারেনি। বরং শেষ দিকে যোগ হওয়া সময়ে স্কোর ৪-১ করে
ছাড়েন ফাবিয়ান শার।
এই
ম্যাচের ফলাফলে ২০০৪ সালের পর গ্রুপ পর্বে
এমন বড় হার দেখেছে
পিএসজি। সেবার চেলসির কাছে তারা ৩-০ গোলে
হেরেছিল। গ্রুপ পর্বে চার গোল হজম করার নজিরও গড়েছে ২০০১ সালের পর। দিপোর্তিভো লা করুনার কাছে
তারা ৪-৩ গোলে
হেরেছিল। জয়ের
পর ‘এফ’ গ্রুপে নিউক্যাসল ২ ম্যাচে ৪
পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে
দুইয়ে ফরাসি জায়ান্টরা।
পিএসজির
হারের দিনে কষ্টের জয়ে মাঠ ছেড়েছে আরেক জায়ান্ট বার্সেলোনা। ‘এইচ’ গ্রুপে তারা পোর্তোকে হারিয়েছে ১-০ গোলে।
৪৫+১ মিনিটে এই
গোলটির কৃতিত্ব বদলি হয়ে নামা ফেরান তোরেসের। লড়াই করার দিনে স্প্যানিশ জায়ান্টকে আবার শেষ দিকে দশ জনের দলেও
পরিণত হতে হয়েছে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গাভি। অবশ্য পোর্তোর সুযোগ ছিল ম্যাচটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার। কিন্তু সুযোগ মিসের মহড়ায় কপাল পুড়েছে তাদের। ব্যাক টু ব্যাক পরাজয়
থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ম্যানচেস্টার সিটিও। তারা লাইপজিগকে ৩-১ গোলে
হারিয়েছে।
সুত্র:
বাংলা ট্রিবিউন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন