গত ১৪ এপ্রিল ফিফা আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে। এ নিয়ে বাফুফে থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আজ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তা মিডিয়ার কাছেও দেওয়া হয়েছে। ৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ফিফার অভিযোগের সঙ্গে একমত পোষণ করে সোহাগকেই মূল দোষী করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অন্য বেতনভুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সামনের দিনের ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সাতটি সুপারিশমালাও দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত
কমিটির প্রধান ও বাফুফের অন্যতম
সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ছাড়াও সাত সদস্যের সই করা ৯
পাতার প্রতিবেদন বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভাতে উঠেছে। এরপরই তা মিডিয়ার কাছে
প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে ফিফার সব অভিযোগ এবং
তদন্তের সঙ্গে তারাও একমত জানিয়ে প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘ফিফার উল্লেখিত রিপোর্টে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে যে, যেসব অভিযোগ তদন্ত করেছেন এবং তদন্তে যেসব ভুল-ভ্রান্তি রয়েছে, টেন্ডার বা কোটেশন প্রক্রিয়ায়
যেসব অনিয়ম রয়েছে এবং তাদের মতে যে সব অবৈধ
কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট টেন্ডারের
অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে, তার প্রধান মদদদাতা ও নির্দেশনাকারী হিসেবে
প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মাধ্যমেই চিহ্নিত মালামাল সরবরাহকারীদের কোটেশন আহ্বান, ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া এবং সর্বোপরি বিল পরিশোধ করা হয়েছে, সেহেতু সমস্ত দায়-দায়িত্ব তার এবং সমস্ত প্রক্রিয়ায় তিনি নিজে জড়িত। ফিফার প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে আমরাও একমত।’
সোহাগের পাশাপাশি অবশ্য বাফুফের ম্যানেজার অপারেশন মিজানুর রহমান, অ্যাসিসট্যান্ট হেড অব ফিন্যান্স অনুপম সরকার ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আবু হোসেনের শাস্তি চেয়েছে কমিটি। এছাড়া গ্রাসরুট ম্যানেজার হাসান মাহমুদ ও ম্যানেজার (কম্পিটিশন) জাবের বিন তাহের আনসারির বিষয়েও শাস্তির সুপারিশ করেছে তারা।
তদন্ত
কমিটি শেষের দিকে এসে সুপারিশমালাও দিয়েছে। সেখানে ৭টি সুপারিশ যুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে কেনাকাটা যেন স্বচ্ছ থাকে সেই বিষয়ে নানান দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ
নির্বাহী কমিটির সভাতে রিপোর্ট উন্মোচন হলেও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন পরবর্তী সভাতে এ নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে
বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন