ব্যাটিংয়ে কেন উইলিয়ামসন ও বোলিংয়ে টিম সাউদির অভাব টের পেতে দিচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ছাড়া আরেকটি দাপুটে জয় পেয়েছে গতবারের রানার্সআপরা। টপ অর্ডারে তিন ফিফটির পর শেষ দিকে মিচেল স্যান্টনার ১৭ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে স্কোর তিনশ পার করেন। তারপর বল হাতেও নিলেন ৫ উইকেট। তাতে ৩২২ রান করা নিউ জিল্যান্ড পেলো ৯৯ রানের বড় জয়।
ট্রেন্ট
বোল্ট ও ম্যাট হেনরি
তাদের গতি দিয়ে নেদারল্যান্ডসের রানের লাগাম টেনে ধরেন। প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান দেন
বোল্ট, এই ধারাবাহিকতা ধরে
রাখেন প্রথম স্পেলের পুরোটা সময়। একইভাবে অন্য প্রান্ত থেকে হেনরিও ছিলেন মিতব্যয়ী। পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারের পুরোটা
করেন দুই পেসার। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১ উইকেটে ৩৫
রান করে ডাচরা। দ্বিতীয় ওভারে ড্যারিল মিচেলের হাতে জীবন পাওয়া বিক্রমজিৎ সিং ১২ রানে থামেন।
মাত্র ২১ রানের জুটি
ছিল তার ও ম্যাক্স ও’ডাউডের।
পাওয়ার
প্লে শেষ হওয়ার পর রানের লাগাম
হাতছাড়া হয়েছিল। লকি ফার্গুসন ও মিচেল স্যান্টনার
দ্বিতীয় উইকেটের জুটি ভাঙতে ভোগেন। রাচিন রবীন্দ্র ১৮ রানে বাস
ডি লিডকে বোল্টের ক্যাচ বানান।
কলিন
অ্যাকারম্যান ও তেজা নিদামানুরু
২১ ও ২২তম ওভারে
দুটি চার ও এক ছক্কা
মেরে স্কোর একশতে নেন। স্যান্টনার তার পঞ্চম ওভারে ১৫ রান দেন।
অবশেষে স্বস্তি ফেরে ২৬তম ওভারে নিদামানুরু (২১) রানআউট হলে।
স্কট
এডওয়ার্ডসের সঙ্গে জুটি বেঁধে তৃতীয় ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি করেন অ্যাকারম্যান। ৪৪ রানে মিড
অফে উইল ইয়াংয়ের হাকে জীবন পাওয়া এই ব্যাটার ৫৫তম
বলে চার মেরে ফিফটি ছোঁন। তাকে হেনরির ক্যাচ বানান স্যান্টনার। কিউই স্পিনারের ষষ্ঠ ওভারে ৭৩ বলে পাঁচটি
চারে ৬৯ রানে থামেন
অ্যাকারম্যান।
স্যান্টনার
পরের দুই ওভারে এডওয়ার্ডস (৩০) ও রুলফ ফন
ডার মারউইকে (১) ফিরিয়ে ভেঙে
দেন ডাচ ব্যাটিং লাইন। কিউই স্পিনার তার শেষ স্পেলে আরেকটি উইকেট নিয়ে এই বিশ্বকাপে প্রথম
ফাইফারের কীর্তি গড়েন। ১০ ওভারে ৫৯
রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন স্যান্টনার।
হেনরি
টানা দুই ওভারে নেদারল্যান্ডসের শেষ দুই ব্যাটারকে ফেরান। ৪৭তম ওভারের তৃতীয় বলে ২২৩ রানে অলআউট হয় ডাচরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন