আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর চারপাশ ফুরফুরেই ছিল। হুট করে যেন সব গোলমেলে। টানা দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ দল নিয়ে এখন নানা অস্বস্তি, প্রশ্ন। সেসবকে দূরে ঠেলতে মাঝখানে বেশ লম্বা বিরতিই পাচ্ছে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের
বিপক্ষে ম্যাচের ছয়দিন পর পুনেতে ভারতের
বিপক্ষে খেলতে নামবে টাইগাররা। শনিবার চেন্নাই থেকে বাংলাদেশ উড়ে এসেছে পুনেতে। এর আগে বিমানবন্দরে
টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, এখনও ফিরে আসা সম্ভব তাদের জন্য। তিনি
বলেন, ‘ম্যাচ হারলে ভালো লাগবে না, স্বাভাবিক। আমরা ভালো খেলিনি। এখানে সবাই ম্যাচিউরড, সবাই বুঝে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি। ভালো খেললে জেতা সম্ভব এটাও সবাই বিশ্বাস করে। নতুন বলে ফাস্ট বোলিং ভালো হচ্ছে। তবে টপ অর্ডারের ব্যাটিং
ভালো হচ্ছে না। ’
সুজন
আরও বলেছেন, ‘এই উইকেটে
২৪০ করে ম্যাচ জিততে পারবেন না। আমাদের ২৮৫ বা তিনশোর কাছাকাছি
যেতে হতো, তখন ডিফারেন্ট বল গেম হতে
পারত। আমরা ব্যর্থ হয়েছি। টপ অর্ডার ব্যর্থ
হয়েছে, এটা একটা বড় ব্যাপার। এখনও
আমরা বিশ্বাস করি এই জায়গা থেকে
কামব্যাক করতে পারব। টপ অর্ডারের ঘুরে
দাঁড়ানো দরকার। আমাদের সামর্থ্য আছে, দেখা যাক। ’
প্রথম
তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে জয় দরকার পরের
ম্যাচগুলোতে। এর মধ্যেই কঠিন
প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামতে হচ্ছে। সুজন অবশ্য বলছেন, বাংলাদেশই কম চাপে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চেয়ে ভারতের উপরই বেশি চাপ থাকবে। আমরা গোছানোর সময় পাব। গত ৭ দিনে
৩ ম্যাচ খেলেছি। পরের ২৯ দিনে খেলব
৬ ম্যাচ। পরের ম্যাচ ৬ দিন পর।
নতুন করে চিন্তাভাবনা করার সময় পাব। আমাদের হারানোর কিছু নেই। নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের সাহস নিয়ে খেলতে হবে। ’
সজুন
আরও বলেছেন, ‘আগ্রাসী ক্রিকেট
খেলতে হবে। আগ্রাসী ক্রিকেটের এটিটিউড না থাকলে এই
লেভেলে খেলা কঠিন। বাংলাদেশ এর আগে সবাইকে
হারিয়েছে, হোক দেশের মাটিতে। নিউজিল্যান্ডকে ওদের মাঠে টেস্ট হারিয়েছি। আমরা পারি না তা না।
পারফরম্যান্সের সমন্বয় হচ্ছে না, যেটা আমাদের দরকার। ব্যাটিংয়ে জ্বলে ওঠা দরকার, সাথে বোলিং। বলব না বোলাররা খারাপ
করছে। তবে লক্ষ্য কম হলে এপ্রোচ
বদলে যায়, তখন ওরাও ভিল করে। এখন উইক জোন বললে ব্যাটিং। ’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন