২৭ জুন সূচি ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বিশ্বকাপের আমেজ। বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকই শুরু করে দিয়েছেন ভবিষ্যদ্বাণী। বিশ্বকাপের নক আউট রাউন্ডে অনেকের ফেভারিটের তালিকায় ভারত, পাকিস্তানের নাম ছিল। মাইকেল ভন এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দেখছেন।
ভারত,
পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—এই
তিন দলেরই একাধিকবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার রেকর্ড রয়েছে। তবে অল এশিয়ান ফাইনাল
হয়েছে ২০১১-এর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে।
সেবার ফাইনাল খেলেছিল ভারত-শ্রীলঙ্কা। ১২ বছর পর
আবারও যখন ভারতে বিশ্বকাপ, তখন এশিয়ার এই দুই দলকেই
নক আউট রাউন্ডের দল হিসেবে দেখছেন
অনেকেই।
নিজেদের
কন্ডিশনে ভারত কতটা শক্তিশালী, তা কারও অজানা
নয়। কদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে তাদেরই মাঠে বিধ্বস্ত করে এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। অন্যদিকে গত কয়েক বছরে
পাকিস্তান ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। তা ছাড়া পাকিস্তানের
সঙ্গে আনপ্রেডিক্টেবল তকমা তো রয়েছেই।
তা
ছাড়া গত ১০ বছরে
আইসিসি ইভেন্টে চারবার ফাইনাল খেলেছে ভারত। যেখানে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফাইনাল খেলেছে ভারত-পাকিস্তান। আর ওয়ানডেতে ব্যাটারদের
র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন বাবর আজম। ৫ ও ১০
নম্বরে আছেন ইমাম-উল-হক ও
ফখর জামান। পাকিস্তানের এই তিন ব্যাটারই
আছেন দারুণ ছন্দে। র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে
থাকা শুবমান গিল এ বছর ওয়ানডেতে
করেছেন পাঁচ সেঞ্চুরি। ৯ নম্বরে থাকা
বিরাট কোহলি ওয়ানডেতে তিন সেঞ্চুরি করেছেন এ বছর। মুত্তিয়া
মুরালিধরন, ক্রিস গেইল, দিনেশ কার্তিকের মতো ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখার আশা করছেন। বীরেন্দর শেবাগও ভারত-পাকিস্তান দুই দলকেই সেমিতে রেখেছেন। তাঁদের সুরেই যেন সুর মিলিয়েছেন ভন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক আজ টুইট করেছেন,
‘এই সপ্তাহে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। তার জন্য তর সইছে না।
আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হচ্ছে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তান।’
বৃহস্পতিবার
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০১৯ বিশ্বকাপের মতো এবারও হবে দশ দলের বিশ্বকাপ।
রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হওয়া টুর্নামেন্টে প্রথম রাউন্ডে হবে ৪৫ ম্যাচ। এরপর
হবে দুই সেমিফাইনাল। আর ১৯ নভেম্বর
ফাইনাল হবে আহমেদাবাদে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন