জন্মদিনের আলাদা মর্মার্থও আছে অনেকের কাছে। লিটন দাসের কাছেও হয়তো বছরের ১৩ অক্টোবর সে রকমই এক সংখ্যা। তাঁর মনে না থাকতে পারে। তবে জন্মদিনটা সহধর্মিণী, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব কিংবা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আরও ভালো করে মনে করিয়ে দেয়। চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামার আগে গতকাল রাত থেকেই হয়তো জন্মদিনের ‘শুভেচ্ছা’ পেয়ে চলেছেন লিটন।
অবশ্য
সময়টাও ভালো যাচ্ছে না লিটনের। তবু
শুভেচ্ছার সঙ্গে দারুণ এক ইনিংসে জন্মদিনটা
রাঙিয়ে দিতেও বলেছেন হয়তো অনেকে! লিটন নিজেও হয়তো খুব করে চেয়েছিলেন, ইংল্যান্ডের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ কিছুই করার। এমন আশা নিয়েই তো ক্রিকেটাররা মাঠে
নামেন। তার ওপর আবার নিজের ২৯তম জন্মদিনে! ৮ বছরের ক্যারিয়ারে
এমন উপলক্ষও হাতে গোনা। জন্মদিনে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচ খেলার সুযোগ এল তাঁর।
কিন্তু
চেন্নাইয়ে সেই আশায় গুড়েবালি। আজ কিউইদের বিপক্ষে
বাংলাদেশের বিপর্যয়ের শুরু তাঁকে দিয়েই। ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ট্রেন্ট বোল্টের করা ইনিংসের প্রথম বলেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন এই ওপেনার। ঠিক
যেন সবশেষ (২০২২, ১৩ অক্টোবর) জন্মদিনের
বিপরীত মেরুর ব্যাটিং লিটনের। গত বছর ক্রাইস্টচার্চে
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪২ বলে ৬৯
রানের অসাধারণ এক ইনিংসে জন্মদিন
রাঙিয়েছিলেন এই ওপেনার।
ওপেনিংয়ে
নেমে ইনিংসের প্রথম বলে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার
আউট হলেন লিটন। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে আউট হয়েছিলেন ইনিংসের প্রথম বলে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সব সংস্করণ মিলিয়ে
লিটনের এটি ১৭তম ডাক।
এই
বিশ্বকাপে নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশের হয়ে প্রথম গোল্ডেন ডাকে আউট হয়েছেন। সেটি ছিল গত ম্যাচে ইংল্যান্ডের
বিপক্ষে। দশম বাংলাদেশি হিসেবে লিটন বিশ্বকাপে গোল্ডেন ডাকের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন আজ।
১৯৯৯
বিশ্বকাপে চেমসফোর্ড নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই গোল্ডেন ডাক মেরেছিলেন মোহাম্মদ রফিক। বিশ্বকাপে এই স্পিন অলরাউন্ডারই
ছিলেন বাংলাদেশের হয়ে গোল্ডেন ডাকে আউট হওয়া প্রথম ক্রিকেটার। সেই বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এই তিক্ত অভিজ্ঞতা
হয়েছিল আমিনুল ইসলামেরও।
২০০৩
বিশ্বকাপে এক ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে চামিন্দা ভাসের তোপে গোল্ডেন ডাকে আউট হয়েছিলেন হান্নান সরকার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও এহসানুল হক।
একই বিশ্বকাপে কিউইদের বিপক্ষে হাবিবুল বাশারও আউট হয়েছিলেন প্রথম বলে। ২০০৭ বিশ্বকাপে সৈয়দ রাসেল এবং ২০১১ বিশ্বকাপে শফিউল ইসলামও এই তালিকায় আছেন।
মাঝে ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে
কোনো গোল্ডেন ডাক মারেননি বাংলাদেশে কেউ। শান্ত ও লিটনে আবারও
সেই গোল্ডেন ডাক দেখা গেল বাংলাদেশ দলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন