চলতি বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর বিশ্রাম দেওয়া হয় মাহমুদউল্লাহকে। এর পর বিশ্রাম ভেঙ্গে আর ফেরানো হয়নি ডানহাতি এই অলরাউন্ডারকে। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ফেরানো হয়েছে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারকে। এছাড়া লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা সৌম্য সরকাকেও ফেরানো হয়েছে জাতীয় দলে। দুইজনের ভূমিকা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন এই সিরিজের অধিনায়ক লিটন দাস।
বিশ্বকাপের স্কোয়াড এখনো ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মাহমুদউল্লাহ ও
সৌম্য বিশ্বকাপের বিবেচনায় আছেন। তবে
তার আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভালো
করতে হবে এই
দুই ব্যাটারকে। এই
সিরিজে দুই
ব্যাটারের ভূমিকা নিয়ে লিটন
বলেছেন, ‘ভূমিকা নিয়ে আমি বলতে চাই না। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। যদি দ্রুত উইকেট পড়ে যায় রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাই ব্যাটিংয়ে গেলে ৩০-৩৫ ওভারের গেম থাকলে উনি উনার মতো গেম খেলবেন। এটা বলার দরকার নেই, উনি অনেক ম্যাচিউরড। একই কথা সৌম্যর ক্ষেত্রেও। যেখানেই সুযোগ পাবে তারা রান করার চেষ্টা করবে। শুধু তারা দুজন না, প্রত্যেক ব্যাটারের দায়িত্ব রান করা।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে
অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। এরপর
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত প্রত্যহার করলেও ইনজুরির কারনে ছিলেন না এশিয়া কাপের দলে।
বিশ্বকাপের আগে
সুস্থ হয়ে তামিম ফিরেছেন নিউজিল্যান্ড সিরিজে। তামিম ও মাহমুদউল্লাহর ফেরা নিয়ে
লিটন বলেছেন, ‘দুইজন সিনিয়র খেলোয়াড় থাকলে, অবশ্যই সব দিক থেকে হেল্প হয়। অনেক দিন পর তারা খেলতে এসেছেন। আমি চাই না কোনো কিছু নিয়ে তাদের চাপ দিতে। তারা গেমটা উপভোগ করুক। বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচেই এনজয় করতে পারলে সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে। ‘
সামনেই বিশ্বকাপ। ভারতে স্পোটিং উইকেটে খেলতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই লিটনদের জন্য ব্যাটিং উইকেটে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদিও লিটন
জানেন না কেমন
উইকেট হচ্ছে, ‘জানি না ভাই। উইকেট সম্বন্ধে এখনও কোনো আইডিয়া নেই। যা-ই হবে দুই দলের জন্য একই হবে। ‘
এশিয়া কাপ
খেলে এখনো পুরো
দল এক সাথে
প্রস্তুতি নিতে
পারেনি। ম্যাচের আগের
দিন বুধবার বৃস্টির কারনে অনুশীলন ব্যহত হয়েছে। ইনডোরে ক্রিকেটাররা ব্যাটিং অনুশীলন করেছে। টানা
খেলা এবং বৃষ্টির কারনে স্কিল অনুশীলন ঠিকঠাক ভাবে না
হলেও মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে
নামতে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ। লিটন
বলেছেন, ‘কাজ করার তো সুযোগ নাই। যা করার মানসিকভাবে করা লাগছে, মাইন্ড গেম খেলা লাগছে। দেখি কতটুকু সফল হওয়া যায়। টেকটিক্যালি তো কিছু করতে পারিনি, গত কিছু দিন অনুশীলন করতে পারিনি। জানি না আজও কতখানি প্র্যাকটিস করতে পারব। হয়ত প্র্যাকটিস ছাড়াই মেইন ম্যাচে খেলা লাগতে পারে। এটা মানসিকতার খেলা। ওদের স্পিনও ভালো, কোয়ালিটি স্পিনারও কিন্তু আছে।’
বিশ্বকাপের আগে
নিউজিল্যান্ড সিরিজকে অনেকেই ব্যাক্তিগত প্রস্তুতির মঞ্চ
হিসেবে দেখছেন। লিটন অবশ্য জানিয়েছেন তাদের লক্ষ ম্যাচ জেতা, ‘আমি যখন ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি আমার প্রথম কাজ ম্যাচ জেতা। সবার এই লক্ষ্যই থাকে। দিনশেষে ১০০ করলে বা ৫ উইকেটে পেয়ে ম্যাচ না জিতলে এটার মূল্য থাকে না। সব খেলোয়াড় পারফর্ম করতে চাইবে। একদিনে সবাই পারফর্ম করবে না, হয়ত ১-২ জন করবে। এটাই ক্রিকেট, এটাই হয়ে আসছে, সামনেও এটাই হবে। সবাই চেষ্টা করবে, যার কপাল থাকবে দিন থাকবে সে ভালো করবে। মূল লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ জেতা।’
সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন