এশিয়া কাপে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আজ ১৬তম ফাইনাল। দুই দল ভিন্ন প্রকৃতির প্রেরণা নিয়ে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে রবিবার মাঠে নামছে। তাদের মধ্যে ভারত ২০১৮ সালের পর বহুদলীয় টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের স্বাদ পাওয়ার অপেক্ষায়। আর গত আসরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শিরোপা জেতা শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে ফরম্যাটের শিরোপা জিতে টানা দ্বিতীয় ট্রফি ঘরে তুলতে মরিয়া। ম্যাচটা শুরু হবে বিকাল সাড়ে ৩টায়।
ফাইনালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভারত ফেভারিট হিসেবে এগিয়ে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু আন্ডারডগের তকমা নিয়ে টুর্নামেন্ট খেলতে নামা শ্রীলঙ্কা এই ভারতকেই সুপার ফোরে চোখ রাঙানোয় জমজমাট ফাইনালের ইঙ্গিত মিলছে। গত সপ্তাহে ভারতকে ২১৩ রানে অলআউট করে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তারা। সবগুলো উইকেটই নিয়েছিলেন স্পিনাররা। কিন্তু টপ অর্ডাররা ব্যর্থ হওয়ায় সেই কাজ অসমাপ্ত থেকে গেছে।
এই ম্যাচেও হয়তো শ্রীলঙ্কান দল পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে। কলম্বোয় প্রায় একই রকম স্লো ও টার্নিং পিচে খেলা হবে। তবে ব্যাটিং প্রদর্শনীটা হতে হবে ধারাবাহিক। দুর্ভাগ্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাহিশ থিকশানাকে তারা মিস করবে। তবে দেশের জন্য কিছু একটা করে দেখানোর সংকল্পে সেটা মোটেও বাধা হচ্ছে না তাদের। শানাকা ম্যাচের আগে বলেছেন, ‘দেশের জন্য ছেলেরা কিছু একটা করে দেখাতে উন্মুখ। দল হিসেবে আমরা আন্ডারডগ। কিন্তু সবাই বড় মঞ্চে পারফর্ম করতে চায়। এই তরুণদের এমন মঞ্চে কিছু একটা করে দেখানো প্রয়োজন, যাতে মনে হয় আমরা তার যোগ্য।’
সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলা দলটা হলো শ্রীলঙ্কা। ১২ বার তারা শিরোপা মঞ্চে খেলেছে। ওই তুলনায় ভারত দশবার। শিরোপা সংখ্যায় অবশ্য ভারত-ই এগিয়ে। তারা সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, শ্রীলঙ্কা ছয়বার। ফাইনালে মুখোমুখি লড়াইয়েও ভারত ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে। রোহিতদের তাই বিশ্বকপের আগে এশিয়া কাপ জিতে মোমেন্টাম ধরে রাখার লক্ষ্য। ভারতের ওপেনার শুবমান গিল বলেছেন, ‘এশিয়া কাপ ফাইনাল জেতাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামনে বিশ্বকাপ। মূল মুহূর্তে মোমেন্টাম ধরা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’
সুত্র:
বাংলা ট্রিবিউন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন