কথাটা
বলার সময় তার চোখেমুখে উচ্ছ্বাসও ছিল স্পষ্ট। এমনিতে প্রায় এক দশক ধরে
খেলছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। অনেক জায়গাতেই প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাংলাদেশের, দিয়েছেন নেতৃত্বও।
তিনি
বলেন, ‘আমার জন্য প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। গতবার ওভাবে করতে পারিনি। জানি না আল্লাহ পাক
যদি আমাদের সুযোগ করে দেয়, আমাদের সবার জন্য অনেক বড় একটা অভিজ্ঞতা
হবে। অনেক বড় গৌরবের বিষয়
হবে। কারণ এত বড় মঞ্চে
বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো এবং আমি বলবো এটা আমাদের জন্য অনেক বড় বিষয়। ’
‘গেমসগুলোতে
যেটা হয় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব
করতে পারার অভিজ্ঞতা তো অন্যরকম। কিন্তু
সবার সঙ্গে শেয়ার করা তো সেটা বলবো
আলাদা। আমার জন্য একদমই প্রথম, আমাদের সিনিয়ররা আরও দুবার গিয়েছে। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শুনেছি যেটা আমার কাছে মনে হয় সবাই অনেক
রোমাঞ্চিত। যারা এবার নতুন দলে যোগ হয়েছে বা একদম নতুন
এসেছে তাদের জন্য বড় একটা অভিজ্ঞতার
জায়গা থাকবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে যেখানেই হোক, এশিয়ান গেমস, এশিয়া কাপ হোক বা বিশ্বকাপ, সেটা
সবসময় আনন্দের। ’
এর
আগে এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট হয়েছে দুবার। দুটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ জিতেছে রৌপ্য পদক। এবার চীনের হাইঝুুতে হতে যাওয়া গেমসে স্বর্ণ জেতার লক্ষ্য বাংলাদেশ দলের। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে
ক্রিকেট ইভেন্ট শুরু হলেও জ্যোতিরা প্রথম ম্যাচ খেলবে ২২ সেপ্টেম্বর, সরাসরি
কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবেন তারা।
গেমসে
নিজেদের লক্ষ্য জানিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘প্রথমে বলবো যে ট্রফি জেতা
আর মেডেল জেতার মধ্যে অনেক তফাৎ, যেটা আমি অনুভব করেছি। কারণ প্রথমবার ২০১৯ এ সাউথ এশিয়ান
গেমস খেলেছি, যেখানে আমরা গোল্ড মেডেল নিয়ে এসেছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে ট্রফির থেকে গোল্ড মেডেলের আনন্দটা অন্যরকম। বলবো যে সবার ইচ্ছে
তো অবশ্যই, বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ যে ফলাফল, বাংলাদেশকে
বড় একটা এচিভমেন্ট গোল্ড নিয়ে আসা ওই প্রত্যাশা তো
থাকবে। ’
‘দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে আমরা সবসময় চাই যেন খেলার ভেতর থাকি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ নিজেদের ভালো প্রস্তুতির জন্য। সামনে যেহেতু দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ও টুর্নামেন্ট আছে। যাদের সঙ্গে খেলবো তাদের সঙ্গেই পরে খেলতে হবে। সেজন্য আমাদের প্রস্তুতির জন্য বড় সুযোগ। ’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন