টপ অর্ডারদের লজ্জা দিলো নাসুম-মেহেদী-হৃদয়রা - স্টেডিয়াম

শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

টপ অর্ডারদের লজ্জা দিলো নাসুম-মেহেদী-হৃদয়রা

দুইশর আগেই সাত উইকেট হারানো বাংলাদেশকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংগ্রহ এনে দিতে ভালো অবদান রাখেন নাসুম আহমেদ। তার চল্লিশ ছাড়ানো ইনিংসে বাংলাদেশ আড়াইশর স্বপ্ন দেখে। তিনি পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগেই আউট হলে শেখ মেহেদী হাসান তানজিম হাসান সাকিবের ছোট ক্যামিও ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ করেছে ২৬৫ রান। শেষ দুই ওভারে একটি করে ছয় চার হাঁকান তানজিম সাকিব। শেষ বলে মেহেদী হাসান মিরাজ একটি চার মেরে রান বাড়িয়ে নেন। উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৯ রানে মিরাজ তানজিম সাকিব ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।

 


নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে নাসুম আহমেদ মুগ্ধতা ছড়ালেন। তার দারুণ ইনিংসে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংগ্রহ গড়ার ইঙ্গিত দেয়। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে হাফ সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন তিনি। কিন্তু রান দূরে থাকতে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার কাছে আউট নাসুম। ৪৫ বলে চার ছয়ে ৪৪ রান করে তিনি বোল্ড হন। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি ছিল নাসুমের।

 

এর আগে ৪২তম ওভারে তিলক ভার্মার ক্যাচ হলেন তাওহীদ হৃদয়। মোহাম্মদ শামির শিকার হয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটার। ৮১ বলে ৫৪ রানের ইনিংস ছিল তার। ১৯৩ রানে সপ্তম উইকেট যায় বাংলাদেশের।

 

শুরুর বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সাকিব আল হাসানের দৃঢ়তায়। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে উপহার দিয়েছেন শতরান ছাড়ানো জুটি। সম্ভাবনাময় এই জুটি আশাও দেখাচ্ছিল। দুর্ভাগ্য দলের ১৬০ রানে গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভাঙে সাকিবের বিদায়ে। শর্ট লেংথের বল অলস ভঙ্গিতে খেলতে গিয়েছিলেন। ফলাফল ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাতে ৮৫ বলে ৮০ রানে শেষ হয় সাকিবের ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ৩টি ছয়ের মার। সাকিব-হৃদয় জুটিতে যোগ হয় ১০১ রান।   

 


এর আগে ৫৯ রানে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। চাপে থাকার মুহূর্তে দিশা দেখালেন সাকিব আল হাসান। তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৫৫তম ফিফটি। সাকিব ফিফটি স্পর্শ করেছেন ৬৫ বলে। তার আগে ২৮ রানে উইকেট পড়ে যাওয়ায় এলোমেলো হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় ছিলেন মিরাজ-সাকিব। ৩১ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু দুবার জীবন পাওয়া মিরাজ সেটিকে পূর্ণতা দিতে পারেননি। ১৪তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার থেমেছেন ১৩ রানে।

 

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার শুরু এনে দিতে পারেননি। এশিয়া কাপটা স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না লিটন। রান পাচ্ছেন না। ভারতের বিপক্ষেও ফিরেছেন রানের খাতা না খুলে। সামির তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়েছেন। লিটনের উইকেট হারানোর পরের ওভারে বোল্ড হন তানজিদ হাসানও। শর্ট বলে পুল করতে গিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য বল ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প উপড়ে যায় তার। তাতে দলে দ্বিতীয়বার সুযোগ পাওয়া তানজিদ মাত্র ১৩ রানে থেমেছেন। 

 

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন