দুই সপ্তাহ পর বুধবার মাঠে নামলেন লিওনেল মেসি। ইন্টার মায়ামির জার্সিতে কয়েকবার সুযোগও তৈরি করলেন। এরপর ভক্তদের মনে ভয় ধরিয়ে মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। পায়ের ইনজুরি নিয়ে ৩৭তম মিনিটে বদলি হয়ে মাঠের বাইরে যান তিনি। তার সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ জর্দি আলবাও চোটের কারণে মাঠ থেকে উঠে যান। তাদের ইনজুরিতে ম্লান হয়েছে টরোন্টো এফসির বিপক্ষে মায়ামির ৪-০ গোলের বড় জয়।
আটলান্টা ইউইনাইটেড এফসির বিপক্ষে গত শনিবার ৫-২ গোলে হারের ম্যাচে দলে ছিলেন না মেসি ও আলবা। টরোন্টোর বিপক্ষে দুজনকেই শুরুর একাদশে রাখেন জেরার্ডো মার্টিনো। প্রতিপক্ষের কোনও খেলোয়াড়ের সঙ্গে ধাক্কাও লাগেনি তাদের কিংবা খোঁড়াতেও দেখা যায়নি। তবে অস্বস্তি ছিল স্পষ্ট। মাঠ ছাড়ার পর লকার রুমে না গিয়ে তারা সরাসরি বেঞ্চে বসেন। কিছুক্ষণ পর মায়ামিকে
এগিয়ে দেন ফাকুন্দো ফারিয়াস। রবার্ট টেলর দুটি চমৎকার গোল করেন। বেঞ্জামিন ক্রেমাশিও জাল কাঁপান।
মাঠে নামার পর মেসিকে বেশ প্রাণবন্ত লাগছিল। ২৩তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পান। তার দূরের পোস্টের ভলি বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ১৫ মিনিট পর পরিষ্কার বোঝা গেছে, শারীরিকভাবে অস্বস্তিতে ভুগছেন ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় টেলরকে।
মাঠ ছাড়ার আগে মেসির অঙ্গভঙ্গি দেখে বোঝা গেছে, পায়ের সমস্যায় পড়েছেন তিনি। খেলার সময় স্ট্রেচিং করছিলেন, অধিনায়কের আর্মব্যান্ড খুলে ফেলেন এবং অপেক্ষা করছিলেন কখন খেলা বন্ধ হবে, তিনি মাঠ ছাড়তে পারবেন। এমনকি মাঠ ছাড়ার আগেই জুতার ফিতা খুলে ফেলেন, মোজা কিছুটা নিচে নামান এবং শিন গার্ড খুলে রাখেন।
মেসি তার জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে গত দুটি ম্যাচে খেলেননি। গত ৮ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরের বিপক্ষে সবশেষ খেলেন তিনি এবং তার গোলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ জেতে আর্জেন্টিনা। বলিভিয়া ও আটলান্টা ম্যাচে না খেলার কারণ ক্লান্তি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব নিয়ে মেসির কোনও মন্তব্যও পাওয়া যায়নি।
সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন