ধর্মশালার আউটফিল্ড নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রটও বেশ কড়া সমালোচনা করেছিলেন এই মাঠের। ম্যাচ অফিশিয়ালরাও ‘গড়পড়তা’ রেটিং করেছিলেন ধর্মশালার আউটফিল্ডের।
ইংল্যান্ডের
বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের আগেও কম কথা হয়নি
ধর্মশালার উইকেট ও আউটফিল্ড নিয়ে।
বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ থেকে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারও চিন্তায়
ছিলেন এমন গড়পড়তা মানের আউটফিল্ডে না আবার চোট
পেয়ে বসেন খেলোয়াড়েরা। এই চিন্তা থেকেই
চোটে থাকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে আজ মাঠে নামায়নি
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
এই
মাঠে আফগানদের বিপক্ষে জিতে সাকিব আল হাসানরা একটু
হলেও স্বস্তিতে ছিলেন। ধর্মশালায় চোটের ভয় থাকলেও অন্তত
ইংলিশদের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে বড় ব্যবধানে। হারের
পেছনে ব্যাটিং-বোলিং আশানুরূপ হয়নি জানালেন তাসকিন আহমেদ। ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ পেসার বলেছেন, ‘আসলে হারলে তো একটু খারাপ
লাগেই। বোলিংটা তুলনামূলকভাবে যে আশা ছিল
তার চেয়ে একটু খারাপ হয়েছে। কন্ডিশনটা ব্যাটিং-বান্ধব। আসলে আরও ভালো করা যেত।’
আফগানদের
বিপক্ষে জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ আজ জ্বলে উঠতে
পারেননি। তবে সেই ম্যাচে জেতার পর তিনিও জানিয়েছিলেন,
ধর্মশালার আউটফিল্ডে দৌড়াতে কষ্ট হওয়ার কথা। তাসকিনও সেই কথা বললেন ম্যাচ শেষে। তবে সেটিকে অভিযোগ হিসেবে দাঁড় করাতে চান না তিনি, ‘আউটফিল্ডটা
একটু নরম ছিল। দৌড়াতে কষ্ট হয়। আসলে এটা অভিযোগ করে লাভ নেই। কন্ডিশন যেমনই হোক, সেটা তো নিয়ন্ত্রণে নেই।
এসব একটু মানিয়ে নিয়ে আরেকটু ভালো করা উচিত ছিল। আসলে আমাদের সম্ভাবনা অনুযায়ী এই ম্যাচে বোলিং
একটু খারাপ করেছি। বড় লক্ষ্য হয়ে
যাওয়ার কারণে হয়তো ব্যাটিংটাও আশানুযায়ী ভালো হয়নি।’
ধর্মশালার
আউটফিল্ডে দৌড়াতে তাসকিনদের বেশ কষ্ট হয়েছে। সেটি তাঁদের শরীরী-ভাষায় বোঝা যাচ্ছিল। সাংবাদিকেরাও এ ব্যাপারে জানতে
চান তাঁর থেকে। এ ব্যাপারে তাসকিন
আরও বলেন, ‘দৌড়ানোর আমাদের সবারই মনে হচ্ছিল, একটু ভারসাম্যহীন হলেই পিছলে যাব। তবে আমার মনে হয়, আরও ভালো করা উচিত ছিল, অভিযোগ দিয়ে লাভ নেই।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন