মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে চাইলে শচীন টেন্ডুলকারের ‘ঘরের মাঠ’ বলা যায়। এই মাঠেই শচীনের কিংবদন্তি তকমা পূর্ণতা পায় ১২ বছর আগে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দর্শকপূর্ণ গ্যালারির সামনে ২০১১ বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শেষ ম্যাচও ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি খেলেছেন এ মাঠে। এত স্মরণীয় কীর্তি যাঁর এই মাঠে, তার অবদানকে মনে রাখার মতো মহান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে।
২০২৩
বিশ্বকাপ শুরুর পর কেটে গেছে
১১ দিন। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এখনো পর্যন্ত হয়নি কোনো ম্যাচ। ২১ অক্টোবর ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচই এবারের বিশ্বকাপে মুম্বাইয়ে প্রথম ম্যাচ। এছাড়া ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা, ২ নভেম্বর ভারত-শ্রীলঙ্কা, ৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান, ১৫ নভেম্বর বিশ্বকাপের
প্রথম সেমিফাইনাল-সব মিলিয়ে ৫টি
ম্যাচ হবে ওয়াংখেড়েতে। বিশ্বকাপে মুম্বাইয়ে ম্যাচ শুরুর আগেই ওয়াংখেড়েতে শচীনের ভাস্কর্য উন্মোচন করার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। শচীন
টেন্ডুলকার ও বিজয় মার্চেন্ট
স্ট্যান্ডের মাঝে বসানো হতে পারে ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তির ভাস্কর্য। এক সূত্রের বরাতে
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ’ শচীন টেন্ডুলকার ও বিজয় মার্চেন্ট
স্ট্যান্ডের মাঝে বসানো হতে পারে শচীনের ভাস্কর্য। বিখ্যাত কোনো মন্ত্রীর মাধ্যমে উদ্বোধন করা হতে পারে শচীনের ভাস্কর্য। বিশ্বকাপের কোনো এক ম্যাচের মাঝেই
তা হতে পারে।’
এর
আগে গত ফেব্রুয়ারীতে শচীনের
ভাস্কর্য বানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন এমসিএ প্রেসিডেন্ট অমল কালে। কালে তখন জানিয়েছিলেন যে, অ্যাসোসিয়েশন শচীনের জীবন্ত ভাস্কর্য ওয়াংখেড়ের ভিতরে বানানোর পরিকল্পনা করছে। বিশ্বকাপের সময় এটা তাঁর জন্য হবে বিশেষ উপহার। এ বছরের ২৪
এপ্রিল ৫০ বছর পূর্ণ
করেছেন শচীন। ওয়াংখেড়েতে হাজার হাজার ভক্ত-সমর্থকের উপস্থিতিতে ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তির ৫০ তম জন্মদিন
উদযাপন করা হয়।
ওয়াংখেড়েতে
১১টি করে ওয়ানডে ও টেস্ট খেলেছেন
শচীন। ২২ ম্যাচে ৪৫.৪৬ গড়ে করেছেন
১৩৭৬ রান। দুটি সেঞ্চুরি ও ১১টি ফিফটি
করেছেন। দুই সংস্করণে করেছেন ১টি করে সেঞ্চুরি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন