চার মাস পরই ৩৯ বছর পূর্ণ করবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু রোনালদোকে দেখে তি তা বোঝার উপায় আছে। তাঁর অসাধারণ ফিটনেস দেখে মনে হয় এখনো তিনি ২৭-২৮ বছরের টগবগে যুবক। আন্তর্জাতিক ফুটবল, ক্লাব ফুটবল-সব জায়গাতেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে চলেছেন পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড।
হলুদ
কার্ডের সমস্যা থাকায় গত মাসে লুক্সেমবার্গের
বিপক্ষে ২০২৪ ইউরো বাছাইপর্বের ম্যাচে খেলতে পারেননি রোনালদো। সেই ম্যাচে তাঁকে ছাড়াই ৯-০ গোলে
জিতেছিল পর্তুগাল। এক মাস পর
আবারো তিনি ফিরেছেন ইউরো বাছাইপর্বের ম্যাচে। পরশু এস্টাদিও দা দ্রাগাও স্টেডিয়ামে
স্লোভাকিয়াকে ৩-২ গোলে
হারায় পর্তুগাল। এই ম্যাচে জোড়া
গোল করেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক, ক্লাব ফুটবল মিলে তাঁর গোল সংখ্যা হলো ৮৫৭। যেখানে পর্তুগালের জার্সিতে করেছেন ১২৫ গোল ও আর ক্লাব
ফুটবলে তিনি করেছেন ৭৩২ গোল।
২০২২
ফুটবল বিশ্বকাপের পর অনেকে যেমন
রোনালদোর ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন, তারাই (ভক্ত-সমর্থক, ফুটবল বিশেষজ্ঞ) যেন এখন ভুল প্রমাণিত হচ্ছেন। পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার এখন চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন ১০০০ গোল করার। মূলত রোনালদো চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন এফসি পোর্তোর সভাপতি হোর্হে নুনো পিন্তোর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন রোনালদো। পিন্তোকে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘দেখা যাক কি হয়। ১০০০
গোলে পৌঁছার আগে আগে ৯০০ গোল করতে হবে। আমার বিশ্বাস সে আমি পারব।
আমি এই ব্যাপারে আশাবাদী।
১০০০ গোল পেতে হলে অনেক দূর যেতে হবে।’
স্পোর্টিং
সিপি, ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস-চার ইউরোপের ক্লাবে খেলার পর এ বছরেরই
শুরুতে আল নাসরে যান
রোনালদো। ইউরোপ ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে বছরের শুরুটা ভালো যায়নি তাঁর। ট্রেবল জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও তা অর্জন করতে
পারেনি আল নাসর। যেখানে
গত দুই তিন মাসে সময়টা ভালো যাচ্ছে তাঁর। আগস্টে শেষ হওয়া আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নস কাপে ৬ ম্যাচে ৬
গোল করেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আল নাসর। সৌদি
ক্লাবটির যা প্রথম কোনো
মেজর শিরোপা। আর এ মৌসুমের
সৌদি প্রো লিগে ১০ গোল করে
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। ৯ ম্যাচে ৬
জয়, ১ ড্র ও
২ পরাজয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে
পয়েন্ট তালিকায় আল নাসরের অবস্থান
৩ নম্বরে।
সুত্র:
আজকের পত্রিকা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন