ক্লাব ফুটবলে শৃঙ্খলা ভাঙা চার ফুটবলারের জাতীয় দলে জায়গা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্তটা নিতে পারত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটি। কিন্তু আজ সেই সভা থেকেও কোনো সুখবর পাচ্ছেন না তপু বর্মণ, আনিসুর রহমান জিকো, শেখ মোরসালিনরা। ক্লাবে শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে তাদের জাতীয় দলেও খেলার সুযোগ দেখছেন না বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
গত
১৯ সেপ্টেম্বর মাজিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে দেশে ফেরার পথে বিমানবন্দরে গুরুতর শৃঙ্খলা ভেঙেছিলেন শেখ মোরসালিন, গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, ডিফেন্ডার রিমন হোসেন ও ফরোয়ার্ড তৌহিদুল
আলম সবুজ। এদের মধ্যে সবুজ বাদে অন্য চার ফুটবলার জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত তাদের নিষিদ্ধ করেছে ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। গত ২৩ সেপ্টেম্বর
থেকেও অনুশীলনের বাইরে আছেন এই ফুটবলাররা।
আজ
বাফুফে নির্বাহী কমিটির সভার পর সংবাদমাধ্যমের প্রথম
প্রশ্নই ছিল নিষিদ্ধ ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির প্রসঙ্গে। জাতীয় দলের স্বার্থে জিকো-মোরসালিনদের ফেরানোর সুযোগ আছে কিনা সেই প্রশ্নের জবাবে সিদ্ধান্তটা কোচ হাভিয়ের কাবরেরার কাঁধেই ছেড়ে দিলেন সালাউদ্দিন, ‘মূলত এটা কোচের সিদ্ধান্ত। তবে আমার মনে হয় না তাদের
দলে নেওয়া হবে। একটা ক্লাব যখন শৃঙ্খলাজনিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, চিঠি দিয়ে ফেলেছে তখন কোচের জন্যও সেই খেলোয়াড়দের দলে রাখা কঠিন।’
কোচ
হাভিয়ের কাবরেরাও নাকি চান না জিকো-মোরসালিনরা
দলে থাকুন। আজ সকালে বাফুফে
ভবনে এসে এই ফুটবলারদের জাতীয়
দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গেছেন কাবরেরা। প্রায় ১৫ দিন অনুশীলনের
মধ্যে ছিলেন না এই চার
ফুটবলার। তাদের মালদ্বীপ ম্যাচেও নাকি দেখতে চান না জাতীয় দলের
স্প্যানিশ কোচ।
নির্বাহী
কমিটির সভায় আজ উপস্থিত ছিলেন
বাফুফে সহসভাপতি ও বসুন্ধরা কিংসের
সভাপতি ইমরুল হাসানও। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ক্লাবের কোনো কর্মকর্তা শৃঙ্খলা ভেঙেছেন কিনা তা উদ্ঘাটনে তদন্ত
কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পরই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন