লিমা থেকে ফ্লোরিডা ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথিবীর দুই প্রান্তে খেলেছে লিওনেল মেসির দুই দল। লিমার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রেকর্ড গড়ে মেসি জিতিয়েছেন আর্জেন্টিনাকে। এর পরই উড়াল দিয়ে গেছেন ৪৪৩৯ কিলোমিটার দূরে ফ্লোরিডায়। না খেললেও ইন্টার মায়ামি দলের ডাগআউটে আজ ছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলার।
সিনসিনাটির কাছে গত ৮ অক্টোবর ১-০ গোলে হেরে ইন্টার মায়ামির মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্লে অফ খেলার স্বপ্ন সেখানেই ধূলিসাৎ হয়ে যায়। ডিআরভি পিংক স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচে মেসি খেলেন ৩৫ মিনিট। ১০ দিন পর একই মাঠে আজ এমএলএসে শার্লোট এফসির বিপক্ষে খেলেছে মায়ামি। এই ম্যাচে মূল একাদশ, বদলি খেলোয়াড়—কোনো তালিকায় ছিলেন না মেসি। ডাগআউটে বসে দেখলেন কোনোমতে ইন্টার মায়ামির বেঁচে যাওয়া। মায়ামি দাপট দেখিয়ে খেলেও শেষ পর্যন্ত শার্লোট এফসির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে। মায়ামি বল দখলে রেখেছিল ৫৭ শতাংশ এবং ৪৩ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল শার্লোট এফসি।
প্রথমার্ধে অনেক লম্বা সময় পর্যন্ত ম্যাচে কেউ কোনো গোল করতে পারেনি। ম্যাচের ৪৫ মিনিটে গোলমুখ খোলে শার্লোট এফসি। কারউইন ভার্গাসের অ্যাসিস্টে গোল করেন শার্লোট ফরোয়ার্ড এনজো কোপেত্তি। প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে মায়ামি। অতিরিক্ত ছয় মিনিটে গোল করেন মায়ামি ফরোয়ার্ড নিকোলাস মার্সেলো স্তেফানেল্লি। প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুতই এগিয়ে যায় শার্লোট এফসি। ৫২ মিনিটে কামিল জোজিয়াকের অ্যাসিস্টে গোল করেন ভার্গাস। এরপর ৭৪ মিনিটে স্তেফানেল্লির বদলি হিসেবে নামানো হয় রবি রবিনসনকে। মায়ামির পরাজয় যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখন সুপার সাবের দায়িত্ব ভালোমতোই পালন করেন রবিনসন। ৮৪ মিনিটে লিওনার্দো কাম্পানার ক্রস থেকে পাস প্রথমে রিসিভ করেন রবিনসন। এরপর ডান পায়ের শটে লক্ষ্য ভেদ করেন। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলেই ড্র হয় মায়ামি-শার্লোট এফসি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন