গত দুই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড। গতবার তো বিশ্বকাপ জয়ের কাছেও পৌঁছে গিয়েছিল। দুর্ভাগ্য ফাইনালে বাউন্ডারি কাউন্ট নামক আজব নিয়মে কপাল পোড়ে তাদের। নাহলে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড দুটি দলই ছিল সমানে সমান!
একটা
সময় সেমির দল বলে পরিচিত
ছিল কিউইরা। ১২ সংস্করণে খেলেছে
৮ সেমিফাইনাল। তার পরেও বিশ্বকাপের ট্রফিটা তাদের অধরা। অথচ টুর্নামেন্টে এলে অনেকেই তাদের ফেভারিটের তালিকায় রাখে না! ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম ল্যাথাম অবশ্য
সেসব ভবিষ্যদ্বাণীতে মনোযোগ দিতে নারাজ।
বৃহস্পতিবার গতবারের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়েই পর্দা উঠবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের। তার আগে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে টম ল্যাথাম বলেছেন,
‘মানুষ কী ভবিষ্যদ্বাণী করছে
আমরা সেসবে মনোযোগ দিচ্ছি না। শুধু নিজেদের কী করতে হবে
সেটা বাস্তবায়নে মনোযোগী।’
ল্যাথামের
মতে নিজেদের দিনে সেরা ক্রিকেট খেললে তাদের হারানো কঠিন, ‘ভারতের কন্ডিশনে যদি আমরা নিজেদের ব্র্যান্ড ক্রিকেট খেলি। যেটা অবশ্য গত দুই বিশ্বকাপের
কন্ডিশন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাহলে নিজেদের দিনে আমাদের হারানো কঠিন। তখন আমাদের সেরাটাই দিতে হবে।’
বিশ্বকাপে
আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারতে গেছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও তারা
স্বাগতিক বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে
হারিয়েছে। যদিও গত মাসে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
ইংল্যান্ডের কাছে ভরাডুবি হয়েছে তাদের। ৩-১ ব্যবধানে
ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে। গতকালকের ম্যাচের আগে ল্যাথাম অবশ্য অতীত পারফরম্যান্সকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না, ‘আমার মনে হয় না পরবর্তী
ম্যাচের বেলায় এসবের গুরুত্ব আছে। মূল বিষয়টা হলো নির্দিষ্ট দিনে নিজেদের সেরাটা উপহার দেওয়া। যদি নিজেদের মানটা বজায় রাখতে পারি, তাহলে বিশ্বের যে কোনও দলকেই
আমরা হারাতে পারবো।’
টুর্নামেন্টের
শুরুতে পেসার টিম সাউদিকে পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। বৃদ্ধাঙ্গুলের
চোটে সম্ভবত আরও কিছু ম্যাচে তিনি অনুপস্থিত থাকবেন। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এমন তথ্যই দিয়েছেন। উদ্বোধনী ম্যাচ খেলা হবে না অধিনায়ক কেন
উইলিয়ামসনেরও।
টুর্নামেন্টের
উদ্বোধনী ম্যাচটা হবে আহমেদাবাদের ১ লাখ ৩২
হাজার আসন বিশিষ্ট নরেন্দ্রমোদি স্টেডিয়ামে। ল্যাথাম জানিয়েছেন, এত দর্শকের সামনে
উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে পারবে দেখে কিউই দল রোমাঞ্চ বোধ
করছে।
সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন