এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছাড়লেও আদতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ফাইনাল তো দূরের কথা, লাল-সবুজ জার্সিধারীরা বেশির ভাগ ম্যাচেই আত্মসমর্পণ করেছে। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ইতোমধ্যে ছিটকে গেছে এশিয়া কাপ থেকে। ফলে শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য নিয়মরক্ষার। আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ হলেও ভারতকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটা মাঠে গড়াবে। যা সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টেলিভিশন ও টি-স্পোর্টস।
এশিয়া
কাপের আগে ঘরের মাঠে মাস খানেকের প্রস্তুতি ভক্ত-সমর্থকদের মনে বড় কিছুর আশা
সঞ্চার করেছিল। কিন্তু তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা বাংলাদেশ দলের এই আসর মোটেই
ভালো যায়নি। বলা হচ্ছিল এশিয়া কাপ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মঞ্চও! কিন্তু হাথুরুসিংহের শিষ্যরা সেটা প্রমাণ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। আফগানিস্তানকে হারিয়ে কোনও রকমে সুপার ফোরে উঠলেও পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে
হেরে ছিটকে যাওয়ার পথটা সুগম করেছে। তার পরেও আজ ভারতের বিপক্ষে
জয়টা বিশ্বকাপের আগে সাকিবদের মাঝে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে।
তাই
শেষটা রাঙাতে চান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ‘চাওয়া
পাওয়ার আছে অবশ্যই। যদি আমরা শেষ ম্যাচ জিতে দেশে যেতে পারি, সেটা আমাদের জন্য ভালো দিক হবে। বিশ্বকাপের আগে আরও ৬টি ম্যাচ বাকি। সেখানে দেখতে পারবো আমরা কোথায় আছি। এশিয়া কাপও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে শেষ ম্যাচে ভারতের সঙ্গে জিততে পারলেও তা আমাদের সাহায্য
করবে।’
ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পারিবারিক কারণে শেষ ম্যাচে পাওয়া যাবে না মুশফিকুর রহিমকেও। সবমিলিয়ে ব্যাটিং লাইনআপে অস্বস্তি বিরাজ করছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ম্যাচে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ মাঠে নামবে। ভারতের বিপক্ষে নাঈম শেখের পরিবর্তে একাদশে ফিরতে পারেন তানজিদ হাসান তামিম। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ার পরই একাদশ থেকে বাদ পড়েন তিনি। ভারতের বিপক্ষে আবারও একাদশে দেখা যেতে পারে এই ওপেনারকে। এছাড়া মুশফিকের পরিবর্তে একাদশে ফিরতে পারেন আফিফ হোসেন। সেক্ষেত্রে উইকেটকিপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লিটন দাস।
এই
মুহূর্তে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে আলোচনা চলছে ভীষণভাবে। এমনিতেই অধিনায়ক সাকিব ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হতাশ। তার পরেও ব্যাটারদের নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি, ‘হ্যাঁ, ব্যাটিং করতে পারিনি সেটি তো অবশ্যই হতাশার।
যে ধরনের ইচ্ছে ছিল, সেভাবে পারিনি। কিন্তু পরের সিরিজে হয়তো কামব্যাক করতে পারবে সবাই।’
এদিকে,
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ভারতের মূল একাদশ থেকেও বেশ কয়েকজনকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। ভারতের বোলিং কোচ পরশ মাম্বরের কণ্ঠে তেমন সুরই পাওয়া গেলো, ‘এখনও কাউকে বিশ্রাম দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে হ্যাঁ, এই ম্যাচ অন্যদের
পরখ করে নেওয়ার একটা সুযোগ। যেহেতু আমরা ফাইনালে কোয়ালিফাই করে ফেলেছি। বাকি খেলোয়াড়দের একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। তাই অবশ্যই বিশ্রামের ব্যাপারটা খোলা আছে। দেখা যাক কাল কী হয়। আমরা
দলের প্রয়োজন অনুযায়ী সব করবো।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন