বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত - স্টেডিয়াম

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত

শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিরই জয় হলো। দফায় দফায় বৃষ্টি নামায় পরিত্যক্তই হলো বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। এদিন টস অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই কয়েক দফা বৃষ্টি নামায় বিঘ্নিত হয় ম্যাচটি। ৩৩.৪ ওভার পর্যন্ত খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নামা বৃষ্টি আর না থামলে ম্যাচটি বাতিল করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা।



বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে কিউইরা। ৩৩.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান তুলতে পারে সফরকারী দলটি। এরপর দুইবার বৃষ্টি থামার পর মাঠ পরিচর্যার পর খেলা প্রায় শুরুর পথে ছিল। একবার তো মাঠেও নেমেছিল দুই দলের খেলোয়াড়রা। কিন্তু মাঠে নামতেই আবার বৃষ্টি নামলে আর খেলা সম্ভব হয়নি।


দ্বিতীয় ইনিংস নুন্যতম ২০ ওভার খেলতে হলেও ম্যাচ বাংলাদেশ সময় ৯টা ৬ মিনিটের মধ্যে শুরু করতে হতো। তবে সাড়ে ৮টা নাগাদ বৃষ্টি না থামলে আগেই ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দেন আম্পায়াররা। কারণ এরপর বৃষ্টি থামলে নির্ধারিত সময় ম্যাচ শুরু করা সম্ভব হতো না।


তবে এদিন ইনিংসের ৪.৩ ওভার খেলা হতেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি। তাতে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ফের মাঠে গড়ায় ম্যাচটি। তবে কমে আসে ম্যাচের পরিধি। আট ওভার কেটে ৪২ ওভারে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। অবশ্য টস অনুষ্ঠিত হওয়ার ঠিক পরপরই হয়েছিল এক পলশা বৃষ্টি। তবে দ্রুতই থেমে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছিল ম্যাচটি।


প্রথম দফার বৃষ্টির আগে বাংলাদশের দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিবের বল দেখেশুনেই খেলছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ইয়ং। তবে বৃষ্টির পরপর স্পিনার আনে বাংলাদেশ। অপর প্রান্তে অবশ্য আক্রমণে থাকেন মোস্তাফিজ। পরের ওভারেই পান সাফল্য।


অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ভাঙেন কিউইদের ওপেনিং জুটি। তার লেন্থে থাকা বল অ্যালেনের (৯) ব্যাটের কানায় লাগলে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। এর পরের ওভারে আবারও প্রায় একই ধরণের ডেলিভারিতে এবং একই ঢঙ্গে চাড বয়েসের (১) উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। এবার অবশ্য তার ক্যাচ ধরতে খুব একটা বেগ পেটে হয়নি সোহানকে।


এরপর হেনরি নিকোলসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ইয়ং। গড়েন ৯৭ রানের দারুণ এক জুটি। তাতেই বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে সফরকারীরা। এই জুটিও ভাঙেন মোস্তাফিজ। ২৮তম ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে নিকোলসকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। তার লেন্থ বলে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করলে আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন নিকোলস। তবে লাভ হয়নি। ৫৭ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করেন তিনি।


তবে ১৬তম ওভারে ভাঙতে পারতো এই জুটি। তানজিম হাসান সাকিবের বলে পরাস্ত হয়েছিলেন ইয়ং। এলবিডাব্লিউর জোরালো আবেদন হয়েছিল। আম্পায়ার সাড়া দেননি। তবে রিভিউ নিলে সফল হতে পারতেন তারা। রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে আউট হতেন এই ওপেনার। তখন ১৮ রানে ব্যাট করছিলেন ইয়ং।


তবে নিকোলস ফিরে যাওয়ার পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইয়ং। ৩০তম ওভারে তাকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে ফেরান নাসুম। কিছুটা এগিয়ে খেলতে গিয়ে তার ফ্লাইটেড ডেলিভারি বাঁক নিলে লাইন মিস করেন ইয়ং। তড়িৎ গতিতে বল ধরে স্টাম্প ভাঙেন উইকেটরক্ষক সোহান। ৯১ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ইয়ং। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস।


একই ওভারে রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরান নাসুম। তাকে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। নিজের দ্বিতীয় বলেই সুইপ করতে গিয়েছিলেন রাচিন। তবে নাসুমের আরও একটি ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে বাঁকের মুখে লাইন মিস করলে লাগে প্যাডে। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নিলে বাংলাদেশের পক্ষেই যায় সিদ্ধান্ত। এরপর ৩৩.৪ ওভার পর আবারও মাঠে নামে বৃষ্টি।


বাংলাদেশের পক্ষে ৭ ওভার বল করে ২৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান মোস্তাফিজ। ৮ ওভার বল করে ২১ রানের বিনিময়ে ২টি শিকার নাসুমের।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন