কাঁধের ওপর বিশাল রানের চাপ। এর মধ্যে ৩৭ রানে নেই দুই উইকেট। এমন এক কঠিন সমীকরণ সহজ করে জিতল পাকিস্তান। রানের হিমালয় টপকে গড়ল নতুন কীর্তি।
আজকের
আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটি ছিল আয়ারল্যান্ডের।
২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ৩২৮ রান তাড়া করে জিতেছিল আইরিশরা। এক যুগ পর
আয়ারল্যান্ডের সেই রেকর্ড ভেঙেছে পাকিস্তানের কাছে। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ্য ১০ বল
ও ৬ উইকেট হাতে
রেখে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে বাবর আজমের দল।
হায়দরাবাদের
রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে
ব্যাট করে রানের পাহাড় তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি কেনিয়ার বিপক্ষে, ১৯৯৬ বিশ্বকাপে। সেবার প্রথম শিরোপা দেশটি কেনিয়ার বিপক্ষে করেছিল ৩৯৮ রান। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬৩ রানের একটি ইনিংস ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আজ পাকিস্তানের সঙ্গে
৩৪৪ রান বিশ্বকাপে কোনো পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে লঙ্কানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান। পাকিস্তানের পেসারদের হতাশায় ডুবিয়ে শ্রীলঙ্কার এত রানের পুরো
কৃতিত্ব কুশন মেন্ডিস ও সামারাবিক্রমার। ৬৫ বলে
সেঞ্চুরি করেন মেন্ডিস। ভেঙেছেন
কুমার সাঙ্গাকারার রেকর্ড। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন লঙ্কান কিংবদন্তি।
মেন্ডিসের
সেঞ্চুরিতে অবদান আছে পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিংয়েরও। ১২ রানে মেন্ডিসের
ক্যাচ ফেলেন ইমাম-উল-হক। জীবন
পেয়ে সেঞ্চুরি করেই থেমেছেন মেন্ডিস। মেন্ডিস ফেরার পর লঙ্কানদের বড়
সংগ্রহ এনে দেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। ৮৯ বলে ১০৮
রান করে থেমেছেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে ৭১ রানে ৪
উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার হাসান আলী।
৩৪৫
রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তানও খেয়েছে হোঁচট। ৩৭ রানের মধ্যে
ফেরেন ওপেনার ইমাম-উল-হক ও
অধিনায়ক বাবর আজম। বড়
রান তাড়ায় শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর চাপটা দারুণভাবে সামলে নেন ফখরের জায়গায় সুযোগ পাওয়া আবদুল্লাহ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।
৯৭
বলে শতক পাওয়া আবদুল্লাহ শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ১০৩ বলে ১১৩ রানে, মাহিশ পাথিরানার বলে দ্বাদশ খেলোয়াড় মাদি হেমন্তর দারুণ এক ক্যাচ হয়ে।
১৭৬ রানে ভাঙে তৃতীয় উইকেট জুটি। আবদুল্লাহ ফিরলেও রিজওয়ানকে আউট করতে না পারার মাশুল
গুনেছে শ্রীলঙ্কা। ৮ চার ও
৩ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১৩১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ম্যাচসেরা রিজওয়ান। খেলার মাঝে হ্যামস্ট্রিংয়ের টান পড়লেও ব্যথা সয়েই দলকে দারুণ জয় এনে দিয়েছেন
তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন