দীর্ঘক্ষণ সমান তালে চলেছে লড়াই। তারপরও ব্যবধানে হেরফের হচ্ছিল না। ৮৭ মিনিটে মালদ্বীপ এক গোল করে শেষ মুহূর্তে পরাজয়ের মুখে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু নাটকীয়তার তখনও আরও বাকি! শেষ মুহূর্তে সাদউদ্দীনকে মাঠে নামানো হলে যোগ হওয়া সময়ে গোল করে বাংলাদেশকে নাটকীয় এক ড্র এনে দিয়েছেন তিনি। সাদের করা গোলে বাংলাদেশ হার এড়িয়েছে। তাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম লেগে মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে জামাল ভূঁইয়ার দল।
প্রথম
ম্যাচটি হয়েছে মালদ্বীপের ঘরের মাঠ মালে জাতীয় স্টেডিয়ামে। বৃহস্পতিবার বিরতিতে যাওয়ার আগে কোনও দলই লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। গোলশূন্য স্কোরলাইন রেখে ড্রেসিংরুমে গেছে।
মাদক
কাণ্ডে আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মণ ও শেখ মোরসালিন
নিষিদ্ধ থাকায় নতুনরা সুযোগ পেয়েছেন। তেকাঠির নিচে মিতুল মারমা ও রক্ষণে অভিষেক
হয়েছে শাকিল হোসেনের।
যেমনটা
প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, শুরুতে আধিপত্য ছিল স্বাগতিকদের। বাংলাদেশ দলের খেলা ছিল কিছুটা অগোছালো। সময় গড়ানোর সঙ্গে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নির্ভর খেলেছে দুই দল। প্রথম সুযোগটা তৈরি করে স্বাগতিকরাই। ১৮ মিনিটে বক্সে
ঢুকে আলী ফাসিরের শট সাইড বারে
লেগে ফিরে আসায় এগিয়ে যেতে পারেনি স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশও
সুযোগ পায় ২৬ মিনিটে। বক্সে
ঢুকে রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের জোরালো শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
দুই মিনিট পর স্বাগতিকদের মোহাম্মদ
নাইমের হেড দূরের পোস্ট দিয়ে গেছে। ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশের
সোহেল রানার কর্নারে পোস্টের বাইরে দিয়ে হেড করে হতাশ করেছেন রাকিব। ৪০ মিনিটে ফাহিমও
গোলের দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন। বক্সে ভালো জায়গায় বল পেয়েও সেটি
লক্ষ্যের বাইরে দিয়ে মেরেছেন।
বিরতির
পর খেলা আরও জমে ওঠে। ৫৩ মিনিটে সতীর্থের
লং পাস থেকে রাকিব বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শট নিলেও তা
অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে গেছে। ৪ মিনিট পর
রাকিবের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া
করেও জাল কাঁপাতে পারেননি ফাহিম। তার বাঁ পায়ের জোরালো শটে সাইডের জাল কাঁপিয়েছে!
৬৫
মিনিটে স্বাগতিকদের হামজা মোহাম্মদের নিচু ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে আর একটু হলেই
নিজেদের জালে জড়িয়ে দিতে যাচ্ছিলেন নবাগত শাকিল হোসেন। ভাগ্য ভালো তার স্লাইড করা বল ক্রসবারের ওপর
দিয়ে গেছে। ৭০ মিনিটে রাকিবের
ক্রসে ফাহিম দৌড়ে এসে ৬ গজ দূরত্বে
থেকে বল উঁচিয়ে মেরে
গোলের দারুণ সুযোগ নষ্ট করেছেন। এরপরই ফাহিম ও জামালের জায়গায়
নামেন জনি ও রবিউল।
৭৪
মিনিটে বদলি রবিউলের বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শট মালদ্বীপ কিপার
এক হাতে ফিস্ট করে দলকে রক্ষা করেছেন। তিন মিনিট পর আলী ফাসির
গোলকিপারকে একা পেয়েও তার মাথায় মেরে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছেন।
শেষ
পর্যন্ত ৮৭ মিনিটে ডেডলক
ভাঙে মালদ্বীপ। সতীর্থের ক্রস তারিক কাজী হেড দিয়ে ক্লিয়ার করলেও তা স্বদেশি ডিফেন্ডারের
পায়ে লেগে ফাঁকায় থাকা বদলি হাসান নাইমের কাছে গেলে দারুণ প্লেসিংয়ে তিনি স্কোর ১-০ করেছেন।
এরপরই
মাঠে নামেন সাদ উদ্দিন। যোগ করা সময়ের শুরুর দিকে বদলি সাদ বাংলাদেশকে হার থেকে রক্ষা করেছেন। রাকিবের ক্রসে সাদ ফাঁকায় থেকে শুধু দেখে-শুনে পা ছুঁইয়ে মালদ্বীপ
কিপারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠিয়েছেন।
এখন
আগামী ১৭ অক্টোবর নিজেদের
মাঠে ম্যাচ। সেই ম্যাচ জিততে পারলে পরের পর্ব নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
সুত্র:
বাংলা ট্রিবিউন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন