চোটে পড়ে গত কয়েকদিন অনেক ম্যাচই মিস করেছেন লিওনেল মেসি। প্যারাগুয়ের বিপক্ষেও আজ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়েও ছিল সংশয়। অবশেষে আর্জেন্টিনার জার্সিতে দেখা গেল মেসিকে। মেসির ফেরার ম্যাচে জয় পেল ২০২২ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরাও।
মনুমেন্তাল
স্টেডিয়ামে ভোর ৫টার সময় শুরু হয় আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে
ম্যাচ। এই ম্যাচে প্রতিপক্ষের
ওপর দাপট দেখিয়ে খেলেছে আর্জেন্টিনা। ৭৫ শতাংশ বল
দখলে রেখেছিল আকাশী-নীলরা। প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর ছিল ৪টি শট। অন্যদিকে ২৫ শতাংশ বল
দখলে রেখেছিল প্যারাগুয়ে। আর্জেন্টিনার লক্ষ্য বরাবর তাদের শট ছিল ১
টি। দাপট দেখিয়ে খেললেও আর্জেন্টিনা দিতে পেরেছে ১ গোল। তাতে
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ৩ ম্যাচের ৩
টিতে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে এখন ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী দল। লাওতারো মার্তিনেজের অ্যাসিস্টে ডান পায়ে শট নেন হুলিয়ান
আলভারেজ। তবে প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক কার্লোস করোনেল তা সেভ করেছেন।
এক মিনিট পর আরও এক
সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা
এগিয়ে গিয়েছিল ম্যাচের ৩ মিনিটে। রদ্রিগো
দি পলের কর্নার থেকে ক্রস রিভিস করেন নিকোলাস ওতামেন্দি। ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ওতামেন্দি। এরপর ৯ মিনিটে সমতায়
ফেরার সুযোগ তৈরি করে প্যারাগুয়ে। তবে দলটির ফরোয়ার্ড অ্যাডাম বারেইরোর ডি বক্সের বাইরে
থেকে নেওয়া শট প্রতিহত হয়
আর্জেন্টিনার রক্ষণ দেয়ালে। ২৪ মিনিটে ব্যবধান
দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। লাওতারো মার্তিনেজের অ্যাসিস্টে ডান পায়ে শট করেন হুলিয়ান
আলভারেজ। তবে প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক কার্লোস করোনেল তা সেভ করেছেন।
এক মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ
করার আরও এক সুবর্ণ সুযোগ
পেয়েছিল আকাশী নীলরা। তবে দি পলের কর্নার
থেকে পাওয়া ক্রসে হেড দিয়ে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি ক্রিস্টিয়ান রোমেরো।
৩১
মিনিটে এবার প্যারাগুয়ের লক্ষ্য বরাবর শট করেন দি
পল। প্যারাগুয়ে গোলরক্ষক করোনেলের কাছে তাঁকেও (দি পল) পরাস্ত
হতে হয়েছে। ৩৬ মিনিটে গোলের
সুযোগ হাতছাড়া করেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। কর্নার থেকে অ্যাসিস্ট করেন নিকোলাস গঞ্জালেস। এক মিনিট পর
এবার গঞ্জালেসকে হতাশ করেছেন প্যারাগুয়ে গোলরক্ষক। নাহুয়েল মলিনার কর্নার থেকে ক্রস করা শট গঞ্জালেস মাথা
ছোঁয়ালেও করোনেলকে পরাস্ত করতে পারেননি। প্রথমার্ধের শেষের দিকে বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেও তা কাজে লাগাতে
পারেনি আর্জেন্টিনা। তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ১-০ গোলে
এগিয়ে থেকে শেষ করে প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই্ সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল প্যারাগুয়ে। ৫১ মিনিটে মিগুয়েল
আলমিনের পাস থেকে শট নিয়েছিলেন প্যারাগুয়ে
ফরোয়ার্ড র্যামন সোসা।
তবে র্যামনের শট
ঠেকিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ১ মিনিট পর
আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল প্যারাগুয়ে। মাতিয়াস এসপিনোজার ক্রস থেকে বল রিসিভ করে
হেডি দেন ফ্যাবিয়ান বালবুয়েনা। তবে তা ডি বক্সের
ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরই মধ্যে প্রথমার্ধ ডাগআউটে কাটিয়ে দেওয়া মেসি মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন। ৫৩ মিনিটে আলভারেজের
বদলে মাঠে নামানো হয় মেসিকে। মাঠে
নামার ৩ মিনিট পরই
গোলের চেষ্টা করেন তিনি। তবে ৫৬ মিনিটে তাঁর
শট প্রতিহত হয় প্যারাগুয়ের রক্ষণ
দেয়ালে।
শেষ
৩৪ মিনিটে অনেক বার গোলের সুযোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে
পারেনি আর্জেন্টিনা। পাসিং, ফিনিশিং ঠিকমতো করতে না পারায় গোলগুলো
হয়নি। যেখানে অতিরিক্ত সময়ের ৩ মিনিটে ফ্রি
কিক পেয়েছেন মেসি। ফ্রি কিক থেকে আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকরের যে জুড়ি মেলা
ভার, তা তো সকলেরই
জানা। গোল প্রায় পেয়েও গিয়েছিলেন। তবে তাঁর শট প্যারাগুয়ের গোলপোস্টে
লেগে ফেরত চলে আসে। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ম্যাচ জিতে যায় ১-০ গোলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন