সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল এখন ভারতে। ক্রিকেটাররা দেশ ছাড়ার পরই এক ভিডিও বার্তায় দলে নিজের না থাকা এবং গত কয়েকদিন ধরে চাউর হওয়া গুঞ্জন প্রসঙ্গে কথা বলেন তামিম ইকবাল। একই দিন রাতে এক সাক্ষাৎকারে সেসব কথার কড়া জবাব দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
গত
পরশু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আকস্মিকভাবে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবালের মাঠ ছেড়ে বাসায় চলে যাওয়াকে সাকিবের মনে হয়েছে অপেশাদার আচরণ। সাকিবের এমন মন্তব্যের পর রাত ২টা
১৮ মিনিটে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে
নিজের অবস্থান জানিয়েছেন নাফিস ইকবাল।
সেই
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন,‘ আমি একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে
তৃতীয় ওয়ানডের সময় জাতীয় দল ছাড়ার পদক্ষেপটি
ছিল আবেগের। কারণ ওই দিন সকালে
আমাকে জানানো হয়েছিল যে আমি বিশ্বকাপের
দলের সঙ্গে থাকব না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমিও মানুষ এবং অন্য সবার মতো আমারও আবেগ আছে। আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার ছোট ভাই তামিম ইকবালের চলমান পরিস্থিতির সাথে আমার পদক্ষেপের কোনও সম্পর্ক ছিল না। আমার মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ৬/৭ ঘণ্টা
পর বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা
হয়। আমি সেদিন বোর্ডের সাথে প্রটোকল এবং আচরণবিধি পুরোপুরি বজায় রেখেছি। মাঠে নামার আগে প্রধান কোচ এবং পরে বিসিবির সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার সঙ্গে
আমার মতামত জানিয়েছিলাম।’
নাফিস
আরও যোগ করেন, ‘আমি নিশ্চিত করেছি খেলার আগে দলের শিটে স্বাক্ষর করা, নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে হিসেব নিকেশ চুকিয়ে আসা। বিশ্বকাপের জন্য আমাকে দেওয়া দৈনিক ভাতা ফেরত দেওয়াসহ কোনও কাজ অর্ধেক করে আসিনি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এমন পরিস্থিতিতেও কিছুটা সম্মান তো আমার প্রাপ্য।
কেউ ঘটনাগুলি না জেনে তার
মতামত দিতে পারে না। আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সৎ ছিলাম এবং
এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পরিচালনার অংশ হিসাবে, আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব’।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন