ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ১-০ গোলের জয়ের নায়ক লিওনেল মেসি। গত বৃহস্পতিবার ওই ম্যাচে একমাত্র গোল করার পর একেবারে শেষ দিকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় তাকে। তখন থেকেই বলিভিয়ার বিপক্ষে তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। মঙ্গলবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্টেডিয়ামে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে পেলো না আর্জেন্টিনা। তবু কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচ জিতেছে ৩-০ গোলে।
আর্জেন্টিনা
কোচ লিওনেল স্কালোনি ইকুয়েডর ম্যাচ শেষে জানান, মেসি কিছু একটা অনুভব করছিলেন। নিজেও ক্লান্তির কথা স্বীকার করেন ৩৬ বছর বয়সী
ফরোয়ার্ড। তাই তাকে ছাড়াই খেলতে নামে আলবিসেলেস্তেরা। শুরুর একাদশ তো বটেই, বেঞ্চেও
তাকে রাখেননি স্কালোনি। অবশ্য বলিভিয়ান রাজধানীতে দলের সঙ্গে গিয়েছিলেন মেসি। এস্তাদিও হার্নান্দো সাইলেসের বেঞ্চে বসে দলের জয় উপভোগ করেছেন।
মেসির অনুপস্থিতিতে ঝলক দেখান অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তার হাতেই ছিল অধিনায়কের আর্মব্যান্ড। হাফ টাইমের আগেই দুটি গোলে অ্যাসিস্ট করে প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। ম্যাচ শেষে ৩৫ বছর বয়সী প্লে মেকার বলেন, ‘দুই ম্যাচ হলো, আমরা জানতাম ছয় পয়েন্ট পাওয়া ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের কাছ থেকে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পাওয়া অবিশ্বাস্য। আমি খুব গর্বিত।’
বলিভিয়ার
বিপদ বাড়ে ৩৯ মিনিটে ১০
জনের দল হওয়ার পর
থেকে। ক্রিস্টিয়ান রোমেরোকে ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখেন রবার্তো ফের্নান্দেস।
বিরতির
আগ দিয়ে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথম গোল করেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো। ৪২ মিনিটে ডি
মারিয়ার ফ্রি কিকে হেড করে জাল কাঁপান তিনি। নিকোলাস গঞ্জালেস শক্তিশালী শটে ৮৩ মিনিটে দলের
তৃতীয় গোল করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন