অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা - স্টেডিয়াম

শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

অবিশ্বাস্য এক জয়ে ফাইনালে উঠে গেলো শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের দেওয়া ২৫৩ রান তুলতে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করতে হয় লঙ্কানকে। 

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ম্যাচটা অলিখিত সেমিফাইনালে রূপ নিয়েছিল। তার ওপর ছিল বৃষ্টি হানার সম্ভাবনা। কয়েক দফা বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত থাকা ম্যাচের উত্তাপে সেটি আর বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। জমজমাট লড়াইয়ে বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানকে উইকেটে হারিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টের ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। রবিবার স্বাগতিকরা ভারতের মুখোমুখি হবে। গত আসরে লঙ্কান দল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শিরোপা জিতেছিল।    

 

বৃষ্টির হানায় ম্যাচ শুরুই হয় দুই ঘণ্টার বেশি বিলম্বে। তাই ম্যাচ নেমে আসে ৪৫ ওভারে। টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। . ওভারে আউট হন ফখর জামান। অধিনায়ক বাবর আজম-আব্দুল্লাহ শফিক মিলে ধাক্কা সামাল দিতে পেরেছিলেন। ৬৪ রান যোগ করে পথ দেখাচ্ছিলেন তারা। ঠিক এমন সময় বাবর (২৯) আজমের বিদায়ে ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে।

 

ওপেনার শফিক ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি (৫২) পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি। চার ছক্কায় ৬৯ বলের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। দলের শত রানে তার বিদায়ের পর দ্রুত সময়ে হারিস () নওয়াজের (১২) আউটে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। তখন রানের গতিও বেশি ছিল না।

 

২৭. ওভারে আবার বৃষ্টি বাধা তৈরি করলে ম্যাচ নেমে আসে ৪২ ওভারে। এই বিরতির পরই চাঙা হয়ে ওঠেন রিজওয়ান। ইফতিখারকে সঙ্গে নিয়ে ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন তিনি।

 

যেখানে বৃষ্টি বিরতির আগে উইকেটে ১৩০ রান ছিল স্কোরবোর্ডে। সেখান থেকে রিজওয়ান-ইফতিখার জুটিতে ৪০. ওভারে জমা হয় ২৩৮ রান! ৭৮ বলে তারা ১০৮ রান যোগ করেছেন তারা। ইফতিখার ৪০ বলে ৪৭ রানে আউট হলে ভাঙে দারুণ এই জুটি। তার পর রিজওয়ানের দৃঢ়তায় উইকেটে পাকিস্তানের স্কোর হয় ২৫২।  রিজওয়ান ৭৩ বলে চার ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। বৃষ্টি আইনে লঙ্কানদের লক্ষ্যও দাঁড়ায় ২৫২।

 

লঙ্কানদের হয়ে ৬৫ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মাথিশা পাথিরানা। ৫৮ রানে দুটি নিয়েছেন প্রমোদ মাদুশান।  


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন