মালদ্বীপের ক্লাবের কাছে পাত্তাই পেল না বসুন্ধরা - স্টেডিয়াম

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মালদ্বীপের ক্লাবের কাছে পাত্তাই পেল না বসুন্ধরা

বলের নিয়ন্ত্রণ প্রায় পুরোটা সময় নিজেদের পায়ে। সুযোগও এসেছে কিছুক্ষণ সময় পর পর। কিন্তু বলের দখল আর সুযোগ নষ্ট করলে তার খেসারত কীভাবে দিতে হয় সেটাই হাড়ে হাড়ে টের পেল বসুন্ধরা কিংস। মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে পেল প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ!

 


এএফসি আগের দুই আসরে মাজিয়ার বিপক্ষে হেসে খেলে জয় পেয়েছিল বসুন্ধরা। মালদ্বীপের ক্লাবদের বিপক্ষেও ছিল অপরাজেয় থাকার কীর্তি। এবারের আসরের প্রথমে ম্যাচে প্রিয় দলকে পেয়ে বড় জয়েরই হয়তো স্বপ্ন দেখেছিলেন বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজোন। কিন্তু বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নদের সেই স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়নরা। সারা ম্যাচে কোণঠাসা হয়ে থেকেও - গোলে জিতে মাজিয়া থামিয়ে দিয়েছে মালদ্বীপের ক্লাবদের বিপক্ষে বসুন্ধরার অজেয় থাকার দৌড়।

 

এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে হারের দায়টা অবশ্য নিতে হবে বসুন্ধরার আক্রমণভাগকে। একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন দরিয়েলতন গোমেজ, শেখ মোরসালিন, রাকিব হোসেনরা। উল্টোদিকে মাজিয়া চমক দেখিয়েছে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে। বল বলতে গেলে তেমন পাননি দলটির ফুটবলাররা। কিন্তু তারপরও বসুন্ধরা পাত্তা পায়নি তাদের কাছে। মাজিয়ার তিন গোলের দুটিই এসেছে চোখ জুড়ানো শট আর ভলি থেকে।

 

মালদ্বীপ ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের পাঁচ মিনিটে প্রথম সুযোগ বসুন্ধরার। রবসন রবিনহোর কর্নার থেকে দরিয়েলতনের হেড ঠেকান মাজিয়া গোলরক্ষক হুসেন শরীফ। ১৪ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। বক্সের ডান প্রান্ত ধরে তাঁর আড়াআড়ি শট খুঁজে পায়নি জাল। ফাঁকায় ছিলেন শেখ মোরসালিন, দরিয়েলতন বল দেননি তাঁকেও।

 

দরিয়েলতন না পারলেও ১৫ মিনিটে অসাধারণ এক গোলে মাজিয়াকে এগিয়ে নেন সার্বিয়ান ভয়িস্লাভ বালবানোভিচ। পাল্টা আক্রমণ ধরে ৩৫ গজ দূর থেকে বালবানোভিচেরবুলেটশট বসুন্ধরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে ঠেকানোর কোনো সুযোগ না দিয়েই জড়ায় জালে।

 

গোল খেয়েই যেন খেই হারাল বসুন্ধরা। তাতে ভাটা পড়ল আক্রমণেও। প্রথমার্ধে টুকটাক আক্রমণ হলেও আসলে জুতসই কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশের সেরা দলটি। ৩৯ মিনিটে রাকিব হোসেনের ক্রস ধরে বিশ্বনাথ ঘোষ যেমন ফাঁকাতে থেকেও বল জালে জড়াতে পারেননি।

 

বিরতির পর অবশ্য আক্রমণে গতি বাড়ে বসুন্ধরার। ৫৭ মিনিটে পরপর দুই দফায় গোললাইন থেকে বসুন্ধরার গোল ঠেকিয়ে দেন মাজিয়ার ফুটবলাররা। দরিয়েলতনের ক্রস থেকে প্রথমে রাকিব হোসেনের হেড ঠেকান মাজিয়া গোলরক্ষক। ফিরতি বলে হেড নেন সাদ উদ্দিন। তাঁর হেডে বল গোললাইন অতিক্রম করার আগেই ফেরান ডিফেন্ডার সেবাস্তিয়ান আন্তিচ।

 

বসুন্ধরার আক্রমণে কোণঠাসা মাজিয়া ওপরে ওঠার সুযোগ পাচ্ছিল না একদমই। যেকোনো সময় সমতা ফেরানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিল বসুন্ধরা। সেখান থেকে বসুন্ধরার হাত থেকে ম্যাচ কেড়ে নিল মাজিয়া, দলকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে গেলেন বদলি নামা হাসান নাজিম। ৬৮ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে দরিয়েলতনের হেড থেকে বল পান নাজিম। বক্সের বাইরে থেকে করলেন ভলি। সেই ভলি বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোকে ফাঁকি দিয়ে জড়িয়ে গেল জালে।

 

দ্বিতীয় গোলের পর আর গোল না হলেও চলত মাজিয়ার। তবে বদলি ফরোয়ার্ড আলী ফাসিরও চাইলেন গোল করতে। অতিরিক্ত সময়ে বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোকে এগিয়ে আসতে দেখে বুদ্ধিদীপ্ত শটে বসুন্ধরার হতাশা আরও লম্বা করলেন আলী ফাসির। এর পরের মিনিটে মো. ইব্রাহিম এক গোল শোধ দিলেও সেই গোল হয়ে রইল শুধুই সান্ত্বনার!


সুত্র: আজকের পত্রিকা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন