তামিমের সঙ্গে সাকিব আলোচনা করলে বিষয়টি এতদূর গড়াতো না : মাশরাফি - স্টেডিয়াম

শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

তামিমের সঙ্গে সাকিব আলোচনা করলে বিষয়টি এতদূর গড়াতো না : মাশরাফি

মাঠের খেলার চেয়ে মাঠের বাইরের নানা কর্মকান্ডে ক্রিকেট পাড়া উত্তপ্ত।  সেই আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান এক স্বাক্ষাৎকারে। এতোদিন সাকিবের তামিমের সম্পর্কের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও। সাকিবের বুধবারের স্বাক্ষাৎকারের পর বিষয়টি আর সিক্রেট থাকেনি।  তামিমের নিয়মিত ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করে নিচে খেলার প্রস্তাবকে ঘিরেই এতো লঙ্কা কাণ্ড। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ফোন করে তামিমকে এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।  সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মনে করেন বিষয়টি নিয়ে তামিমের সাথে সাকিব সরাসরি আলোচনা করলে জল এতোদূল গড়াতো না!

 


তামিমের ভিডিও বার্তার পর সাকিবের স্বাক্ষাৎকার-এই নিয়ে ক্রিকেট পাড়া উত্তপ্ত। উদ্বুদ্ধ ঘটনায় ছোট কিছু বার্তা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার রাত আটটার পর ষোলো মিনিটের ভিডিও প্রকাশ করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। সাবেক অধিনায়ক ভিডিওতে তামিমের ভিডিও সাকিবের সাক্ষাৎকারের বিভিন্ন অংশ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন।  

 

নিচের দিকে তামিমের ব্যাটিং প্রসঙ্গ টেনে এনে মাশরাফি বলেছেন, ‘তামিম ম্যানশন করেছে তার বক্তব্যে, ক্রিকেট বোর্ড থেকে যিনি কথা বলেছে, তিনি হয়তো বলেছে তুমি প্রথম ম্যাচে একাদশে থেকো না; থাকলেও নিচের দিকে ব্যাটিং করো। এখানে বেশ কিছু কথা বলার আছে। প্রথম হচ্ছে তামিম হয়তো কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলেছে। কিন্তু তার ভিত্তিতে তাকে দলে না রাখা আসলে কেমন হলো একটা জিনিস। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে তামিমকে এই বিষয়টা কিন্তু যে তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না বা খেললেও নিচে ব্যাটিং করো। আমার যদি ক্রিকেট জ্ঞান বিন্দুমাত্র থাকে, এই জিনিসটা ক্রিকেট বোর্ডের কেউ বলার বিষয় না। এটা বলবে একমাত্র কোচ বা অধিনায়ক বা নির্বাচকরা যিনি যাবেন দলের সঙ্গে। মূল কথা হচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্ট বলবে। তারা যদি বলে এটা বাংলাদেশ থেকেও বলতে পারতো। ভারতে গিয়েও বসে বলতে পারতো ম্যাচের একদিন আগে, দুইদিন আগে। যেটা আইডিয়াল সিচুয়েশন হয় উইকেট অ্যাসেস করার পর প্রতিপক্ষ তাদের বোলার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। কেন এটা এত আগে বলা হলো।

 

সাকিবের কথার সূত্র ধরে আরও মাশরাফি বলেছেন, ‘সাকিব আরও একটি কথা বলেছে, দলের স্বার্থে যে কাউকে যেকোনো জায়গায় ব্যাটিং করতে হতে পারে। আমিও একমত। যে কাউকে যেকোনো পজিশনে ব্যাটিং করতে দিতে হবে। আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক হিসেবে, সাকিব যেহেতু নেতৃত্ব নিয়েছেই। সাকিবই পারতো তামিমকে একটা মেসেজ দিতে বা এক মিনিট ফোনে কথা বলতে যে আমার এই পরিকল্পনা আছে, এটা আমি তোর সঙ্গে পরে আলোচনা করবো। পুরো জিনিসটা এখানে চাপা পড়ে যেতো।

 

খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজমেন্ট এবং ড্রেসিংরুমে তৃতীয় ব্যাক্তির হস্তক্ষেপ চান না মাশরাফি, `সাকিব যেহেতু বলেছে, অফ দ্য ফিল্ড সবকিছু ঠিক করে তাকে অন ফিল্ডে অ্যাকশন নিতে হয়। সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সাকিব যেহেতু বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হয়ে গেছে, তাই প্রথম ম্যাচে তামিমের খেলা না খেলা নিয়ে যেসব আলোচনা হয়েছে সেগুলো সাকিব ব্যক্তিগতভাবে তামিমের সঙ্গে কথা বলার দরকার ছিল। তারা কথা বললে কিন্তু আজ এই আলোচনার জন্ম হতো না। সেটা যদি নেগেটিভও হতো তাও তাদের দুজনের ভেতরে থেকে শেষ হয়ে যেত। এতো আলোচনা হতো না।


 

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন